পটিয়ায় খালের পাড়ে মিললো মাইক্রোচালকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

চট্টগ্রামের পটিয়ায় ব্রিজের নিচে খালের পাড় থেকে জসিম উদ্দিন নামে এক মাইক্রো চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার পিঠে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।

বুধবার (১৮ জুন) বিকালে চট্টগ্রাম-পটিয়া-কক্সবাজার মহাসড়কের বাইপাস সংলগ্ন ইন্দ্রপুল এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মাইক্রো চালকের নাম জসিম উদ্দিন (৩৫)। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক এবং পটিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাগজীপাড়া এলাকার মৃত মোহাম্মদ ইলিয়াছের ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন মাইক্রোচালক নিহত জসিম। বুধবার বিকেলে ইন্দ্রপুল সংলগ্ন ব্রিজের নিচে খালের পশ্চিম পাড়ে জসিমের লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করার পর ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত জসিমের পিঠে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

নিহত জসিম উদ্দিনের ছোট ভাই মো. আজাদ বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন আমার বড় ভাই জসিম। তারা দুইজনের যৌথ একটি হাইস রয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিয়ে পটিয়া হাসপাতালের সামনে থেকে তার সহপাঠীদের সঙ্গে পায়ে হেঁটে ইন্দ্রপুল এলাকায় আসে। এসময় জসিমের মোবাইলে একটা ফোন আসে তখন তিনি আবার ফিরে যায় পটিয়া মেডিকেলের সামনের স্টেশনে। এরপর সারারাত বাড়িতে ফিরেনি।

তিনি বলেন, আমরা মনে করছি, সে হয়তো রাতে বিদেশি যাত্রী নিয়ে বিমানবন্দরে গেছে। বুধবার সকালেও ফিরে না আসায় আমরা চারদিকে ও আত্মীয় স্বজনদের কাছে খোঁজ খবর নিতে থাকি। ইন্দ্রপুল ব্রিজের নিচে বিকালে তার লাশ দেখতে পায় স্হানীয়রা। তার মাথায় বড় ধরনের ছিদ্র ছিল এবং তার পিঠের মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে পরিকল্পিতভাবে ব্রিজ থেকে ধাক্কা দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা এঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করছি।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, বুধবার বিকেলে ইন্দ্রপুল ব্রিজের নিচে এক যুবকের লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিজে