চট্টগ্রামে কাগজপত্রের জটিলতায় পড়া ২০ হাজার মানুষ পেল করোনার টিকা
মোস্তফা হাকিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ
গত একমাস ধরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও উত্তর কাট্টলী এলাকার বিভিন্ন বস্তি এবং শিল্পকারখানার ২০ হাজার মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এসব মানুষ রেজিস্ট্রেশন জটিলতা, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জন্মনিবন্ধন জটিলতার কারণে এতোদিন টিকা দিতে পারছিলেন না।
গত ২৮ থেকে ৩০ ডিসেম্বর আলহাজ মোস্তফা হাকিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নেওয়া এই কার্যক্রমের আওতায় প্রথম ডোজের শেষ ধাপে সীতাকুণ্ডের জঙ্গল ছলিমপুর (ছিন্নমূল) এলাকার ৫ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে এ টিকা কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যৌথ উদ্যোগে এবং আলহাজ্ব মোস্তফা হাকিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সার্বিক সহযোগিতায় এসব মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা হয়।
সবমিলিয়ে এসব এলাকার মোট ২০ হাজার মানুষকে এস্ট্রাজেনিকার টিকা দেওয়া হয়েছে।
গত ২২ নভেম্বর উত্তর কাট্টলীর বিভিন্ন বস্তি ও শিল্পকারখানার শ্রমিকদের টিকা প্রদানের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী দিনে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ মোস্তফা হাকিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এমএ তাহের, পরিচালক সাইফুল আলম, আল-আমীন হাসপাতাল (প্রা.) লিমিটেডের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. মেসবাহ উদ্দিন তুহিন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য মহাপরিচালক ও জেলা সিভিল সার্জনের নির্দেশনায় এ ভ্যাক্সিনেশন প্রজেক্টে সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবা দিয়েছে করোনাকালীন সময়ে চট্টগ্রামে পাশে দাঁড়ানোর জন্য গড়ে ওঠা সংগঠন ‘করোনা মেডিসিন ব্যাংক’।
করোনা মেডিসিন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা এবং এ টিকাদান প্রজেক্টের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মেসবাহ উদ্দিন তুহিন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সরকারের নির্দেশে ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীরের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রত্যেককে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের আওতায় আনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই বা থাকলেও কোন কারণে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারেনি তাদের নাম-ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর নির্দিষ্ট কার্ডে লিখে এই তিন দিন ছিন্নমূলের ৫ হাজার অধিবাসীদের অ্যাস্ট্রোজেনেকা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।’
সিপি