চট্টগ্রামে নারী প্রতারক— কখনও গার্মেন্টস মালিক, কখনও ম্যাজিস্ট্রেট, কখনওবা এনজিওপ্রধান
বারবার ধরা, তবু ফিরেই পুরনো প্রতারণায়
কখনও তিনি গার্মেন্টসের মালিক, কখনও তিনি এনজিওর কর্ণধার, কখনও আবার সাজেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটও। শুধু তাই নয়, মাঝে মাঝে তিনি সাজেন ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী, এমনকি সাংবাদিকও। গত অন্তত ৫ বছর ধরে তিনি এমন সব ভুয়া পরিচয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন চট্টগ্রামজুড়ে। গত কয়েক বছরে তিনি ও তার সহযোগীরা বহুবার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন হাতেনাতে। ছাড়া পেয়েই আবার নেমে গেছেন প্রতারণার পুরনো পেশায়।
৫১ বছর বয়সী এই প্রতারক মহিলার নাম পারভীন আক্তার। তার বিরুদ্ধে রয়েছে ডাকাতির মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলাও।
সাম্প্রতিক সময়ে এই পারভীন আক্তার গার্মেন্টসের মালিক সেজে সেই গার্মেন্টসের পার্টনার হওয়ার টোপ ফেলে বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা ধার নেওয়ার কৌশল নেন। এক্ষেত্রে বরাবরই তিনি একই কৌশল অবলম্বন করে আসছিলেন। টাকা ধার নিয়ে কিছুদিন যোগাযোগ রেখে এরপর যোগাযোগ একদমই বন্ধ করে দেন।
এমনই এক ঘটনায় মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) নগরীর জুবলী রোডের মহানগর ইলেকট্রিক স্টোরের মালিক জিয়াউল হক ভুঁঞার (৪০) অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোতোয়ালী থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে পারভীন আক্তার সব দোষ স্বীকার করলে তার বিরুদ্ধে নতুন একটি মামলা দায়ের করা হয় কোতোয়ালী থানায়।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দীন জানান, পারভীন আক্তা্র মহানগর ইলেকট্রিক স্টোরের মালিক জিয়াউল হক ভুঁঞার দোকান থেকে গত ৫-৬ মাস ধরে বিভিন্ন ইলেকট্রিক মালামাল নগদে কিনে ভালো কাস্টমার হিসেবে বিশ্বাস অর্জন করে নেন। পারভীন নিজেকে ‘স্বীকৃতি অ্যাপারেলস’ নামের একটি গার্মেন্টসের মালিক পরিচয় দিয়ে গত বছরের ২৫ নভেম্বর তার কথিত ফ্যাক্টরির জন্য ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার ইলেকট্রিক মালামাল কেনেন। এই বাবদে নগদ ৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে পরদিন এসে বাকি টাকা পরিশোধ করবেন বলে জানিয়ে যান। কিন্তু প্রতিশ্রুতি মোতাবেক বাকি টাকা আর ফেরত দিতে আসেননি পারভীন আক্তার।
কিছুদিন পর এসে ব্যবসায়ী জিয়াউল হককে পারভীন জানান, তার ব্যবসায় মন্দা চলছে। বিভিন্নভাবে প্ররোচিত করে জিয়াউল হককে তার গার্মেন্টসের পার্টনার হওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। জিয়াউল হক তার কথায় বিশ্বাস করে কোর্ট বিল্ডিংয়ে পারভীন আক্তারের সাথে একটি পার্টনারশিপ চুক্তিনামা করেন। ওই চুক্তিনামা অনুসারে পারভীন আক্তার জিয়াউল হকের দোকান থেকে কয়েক দফায় ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
পরবর্তীতে পারভীন আক্তারের সাথে ফোনে কয়েকদিন যোগাযোগ থাকলেও একপর্যায়ে তার আর হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর জিয়াউল হক খোঁজ নিয়ে দেখেন, পারভীন আক্তারের দেখানো ট্রেড লাইসেন্সটি ছিল ভুয়া। পরবর্তীতে ঠিকানা মোতাবেক গার্মেন্টসে গিয়ে সেটিও বন্ধ দেখতে পান।
এদিকে মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রিয়াজউদ্দিন বাজার তিন পোলের মাথায় পারভীন আক্তারকে দেখে কথা বলতে চাইলে পারভীন আক্তার আগের সবকিছুই অস্বীকার করে ব্যবসায়ী জিয়াউল হককে উল্টো হুমকি দিতে থাকেন। পরে কোতোয়ালী থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পারভীন আক্তারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এরপর জিয়াউল হক বাদী হয়ে পারভীন আক্তারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলীর পুরান হরিদাশ রোডের নেভী ভিলায় পারভীনের বাবা আব্দুর শাহীদের বাসা। তবে পারভীন থাকেন হালিশহর থানার আর্টিলারি রোডের চুনা ফ্যাক্টরি মোড়ে। তার স্বামীর নাম জহিরুল ইসলাম প্রকাশ জহিরুল সাঈদ বলে জানান পারভীন।
ওসি নেজাম জানান, পারভীন আক্তারের নামে পাহাড়তলী থানায় অর্থঋণ আদালত কর্তৃক ইস্যুকৃত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এছাড়া পাঁচলাইশ থানা এলাকার ডাকাতি মামলার অন্য একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ দুটি গ্রেফতারি পরোয়ানাও আছে তার নামে।
চট্টগ্রাম প্রতিদিনের অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতারক এই পারভীন আক্তার আগে আরও কয়েকজন সহযোগী নিয়ে মাইক্রোবাসে ঘুরে ঘুরে কথিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করতেন। কথিত ওই আদালতের নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা টাকা আদায় করতেন। এর আগে প্রতারণা করতে গিয়ে তারা নগরীর কর্ণেলহাট, হালিশহর, বন্দর ছাড়াও জেলার রাঙ্গুনিয়া ও সাতকানিয়ায় আটক হন। কিন্তু প্রতিবারই ছাড়া পেয়ে ফের একই প্রতারণা করে গেছেন তারা।
তাদের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়েছে শ্রমজীবী দরিদ্র মানুষ থেকে শুরু করে চাকরিপ্রত্যাশী বেকার যুবকও। স্বীকৃতি নামে একটি এনজিওর নাম দিয়ে সঞ্চয় ও ঋণদান কর্মসূচি গ্রহণের নামে চট্টগ্রাম নগরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে সঞ্চয় সংগ্রহ করে সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন পারভীন আক্তার। মাঝে কিছুদিন বিরতি দিয়ে চট্টগ্রামের একটি আঞ্চলিক দৈনিকে বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জামানত সংগ্রহের মিশনেও নামেন পারভীন আক্তার। এমন এক ঘটনায় ২০১৯ সালের জুলাইয়ে বাসা ভাড়া পরিশোধ না করা, কর্মী নিয়োগে জামানতের নামে টাকা গ্রহণ, প্রতারণার আশ্রয় নেওয়াসহ নানা বিষয় বাসার মালিকের নজরে আসায় চট্টগ্রামের জাকির হোসেন রোডে পারভীনের ভাড়া নেওয়া বাসায় তালা ঝুলিয়ে দেন ওই বাসার মালিক।
আবার কথিত ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরি দিয়ে জামানত হিসেবে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে নেওয়া হয় বিশাল অংকের জামানতও। মাস শেষ হওয়ায় কর্মকর্তাদের বেতন না দিয়ে জামানত ছাড়াই বিদায়ও করা হয় তাদের। জামানত ও বেতনের টাকা চাওয়ায় একাধিক কর্মকর্তাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছেন তিনি।
এভাবে স্বীকৃতি এনজিওর নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দাবিদার পারভীন আক্তারের বিরুদ্ধে জামানতের নামে ওই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, ২০১৮ সালে ওই এনজিওর নামে চট্টগ্রাম মহানগরসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় অবস্থিত শাখা অফিসে নিয়োগ পাওয়া ২৬ জন কর্মকর্তার জামানতের ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন এই পারভীন আক্তার।
প্রতারণার শিকার হওয়া কর্মকর্তারা স্বীকৃতি এনজিওর নির্বাহী পরিচালকের কাছে বারবার ধর্না দিয়েও কোনো ফল পায়নি। ওই সময় প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন সীতাকুণ্ড শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী বাদি হয়ে স্বীকৃতির নির্বাহী পরিচালক পারভীন আক্তারসহ স্বীকৃতি এনজিওর সঙ্গে সম্পৃক্ত চারজনের বিরুদ্ধে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর উল্টো প্রতারণার শিকার রেজাউল করিম, ইব্রাহিম, আলী এবং লতিফুল কবির নামে চার কর্মকর্তার নামে মামলা দায়ের করেন পারভীন।
২০১৮ সালের ৬ মে দুপুরে রাঙ্গুনিয়ার রাজানগর ইউনিয়নের রাণীরহাট বাজারে ‘চ্যানেল আজাদী’ লেখা স্টিকার লাগানো একটি বিলাসবহুল প্রাইভেট কারে (চট্টমেট্রো-গ ১১-৬৩১৪) চড়ে নিজেদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করার সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে আটক হন পারভীন আক্তার ও এসএম মিজান উল্লাহ সমরকন্দি নামের এক ব্যক্তি। তারা রাণীরহাট বাজারের সাজ্জাদ বেকারিতে গিয়ে নিজেদের পরিবেশ আদালতের ভ্রাম্যমাণ ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের চেষ্টা চালান। অনেক দেনদরবারের পর ছয় হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে সটকে পড়ার সময় সন্দেহ হলে তাদের চ্যালেঞ্জ করেন ব্যবসায়ীরা। এরপর ব্যবসায়ীরা তাদের ধাওয়া করে এক কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কের কাউখালী রাস্তার মাথা থেকে গাড়িসহ আটক করেন। রাণীরহাট বাজারে ধরে এনে তাদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হলে তারা ভিজিটিং কার্ড দেখান। এতে দেখা যায় এসএম মিজান উল্লাহ সমরকন্দি ‘দৈনিক আলোচিত কণ্ঠ’ নামের একটি অখ্যাত পত্রিকার সম্পাদক এবং পারভীন আকতার ‘স্বীকৃতি’ নামের একটি এনজিওর কথিত নির্বাহী পরিচালক। পরে তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে আর কখনও এ ধরনের কাজে জড়িত হবেন না—এমন মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান।
২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কর্ণেলহাট এলাকায় বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক ওষুধালয় নামে একটি দোকানে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় সৈয়দ মিজান উল্লাহ (৩৫) ও ফারদিন আহমেদ (২৪) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে আকবর শাহ থানার পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মিজানের ‘স্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট পারভীন আক্তার পালিয়ে যান।
২০১৯ সালের জুলাইয়ে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে পারভীন আক্তার বলেন, তার প্রতিষ্ঠানে এক সময় জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন মিজান উল্লাহ সমরকন্দি। ৩ লাখ টাকা আত্মসাত করার কারণে তাকে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
আকবর শাহ থানার তখনকার ওসি মো. জসিম উদ্দিন ঘটনার পর গণমাধ্যমকে জানান, যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে, আলোচিত কণ্ঠ পত্রিকার কথিত সম্পাদক মিজান উল্লাহ সমরকন্দি ও তার স্ত্রী হিসেবে পরিচয়দানকারী পারভীন আক্তারের নামে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায়ও আয়ুর্বেদিক ওষুধালয়ের মহিদুল ইসলাম মহিদ বাদি হয়ে আকবর শাহ থানায় সৈয়দ মিজান উল্লাহ, ফারদিন আহমেদ ও পারভীন আক্তারকে আসামি করে মামলা করেন।
আকবর শাহ থানার ওসি জসিম উদ্দিন ওই সময় বলেন, এর আগে পারভীন আক্তারের চক্রটি প্রতারণা করতে গিয়ে নগরীর হালিশহর, বন্দর ও জেলার সাতকানিয়ায় গ্রেপ্তার হয়েছিল।
২০২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী থানাধীন ডিটি রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক পারভীন আক্তারকে গ্রেফতার করে র্যাব-৭ এর সদস্যরা। ওই সময় তিনি নিম্ন আয়ের মানুষদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে দৈনিক-সাপ্তাহিক-মাসিক ভিত্তিতে তার কথিত এনজিওতে সঞ্চয় রাখতে প্ররোচনা দিতেন। কিন্তু সঞ্চয়ের সীমা শেষ হলেও তিনি গ্রাহকদের মূল টাকা বা লাভ দিতে অস্বীকৃতি জানাতেন।
এমন সব অভিযোগ পেয়ে র্যাব সদস্যরা ভুয়া এনজিও সংস্থা ‘স্বীকৃতি’র অফিস এবং পারভীন আক্তারের বাসায় অভিযান চালায়। তার বাসা ও অফিস থেকে বিপুল পরিমাণ সঞ্চয় ও ঋণের পাসবই, পূরণ করা চেক, স্বাক্ষর করা ফাঁকা চেক, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই ও জমা বই, চুক্তিনামা, স্বাক্ষর করা ফাঁকা স্ট্যাম্প, ভোক্তা অধিকার অধিদফতরের জরিমানা আদায়ের রশিদ, সমাজসেবা অধিদফতরের কর্মকর্তার সিল, ‘স্বীকৃতি’ নামক সংস্থার ডেবিট ও ক্রেডিট ভাউচার বই, ফিক্সড ডিপোজিট রশিদ বই, অনুদান আদায়ের রশিদ বই, ক্যাশ পজিশন বই, প্যাড, বিদেশগমনের লিফলেট, বাংলাদেশ সরকারের মনোগ্রামসম্বলিত ভিজিটিং কার্ড, নিয়োগপত্র, লেজার বই, অঙ্গীকারনামা বই, মাসিক চাঁদা আদায়ের রশিদ, মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসূচির বই, হিসাব খোলার বই, সাপ্তাহিক টপশিট, মাসিক সঞ্চয় আবেদন বই, প্রকল্প প্রস্তাব, আইডি কার্ড, চারটি পাসপোর্ট, গ্রেফতার আসামির একটি ভুয়া এনআইডি কার্ডসহ বিপুল পরিমাণ কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
র্যাবের ওই সময়কার সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান মামুন বলেন, ‘পারভীন আক্তারের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানা ও আদালতে ১০টির বেশি প্রতারণার মামলা আছে। ২০১৪ সালে তার প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের কারণে সমবায় অধিদফতর ‘স্বীকৃতি’ সংস্থাটির লাইসেন্স বাতিল করে। পরে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিতে লাইসেন্সের আবেদন করলেও প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য লাইসেন্স অনুমোদিত হয়নি। এরপরও তিনি তার প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন।’
সিপি