চট্টগ্রামে রেল কর্মচারীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন আরেক নারী কর্মচারী। এ ঘটনার পর মামলা তুলে নিতে হুমকি ও মারধর শিকার হয়েছেন ভুক্তভোগী।

অভিযুক্ত রেল কর্মচারীর নাম আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি চট্টগ্রামের সংকেত বিভাগে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন।

চলতি বছরের ৪ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে সিআরবি অফিসে কর্মরত অবস্থায় মামুনসহ কয়েকজন মিলে একটি রুমে ডেকে নিয়ে তাকে মারধরও করেন।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামের সংকেত বিভাগের অস্থায়ী নারী কর্মচারী সাজেদা আক্তার নিশির সঙ্গে একই বিভাগের অফিস সহকারী আবদুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্ক গভীর হলে মামুন সাজেদা আক্তারকে তার স্বামীকে তালাক দিতে বলেন। মামুন তাকে বিয়ে করবে এমন আশায়, সাজেদা ২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তার স্বামীকে তালাক দেন।

এরপর ১ অক্টোবর ওয়াসার মোড় এলাকায় একটি ফ্ল্যাটের তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করতে থাকেন। এর মধ্যে সাজেদা বিয়ের জন্য চাপ দিলে টালবাহানা শুরু করেন মামুন।

মামুনের চালাকি বুঝতে পেরে ২৭ অক্টোবর ধর্ষণের অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী সাজেদা মামলা করেন। এছাড়া তিনি নগরের কোতোয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ করেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাপরিচালক বরাবরেও।

ভুক্তভোগী সাজেদা আক্তার জানান, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে আমরা গত দুই বছর ওয়াসা মোড় এলাকার একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করে আসছি। চলতি বছর থেকেই বিয়ের জন্য তাকে চাপ দিই। এমনকি আমি দুই মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা হই। কিন্তু মামুন আমাকে কৌশলে ওষুধ খাইয়ে বাচ্চা নষ্ট করে ফেলেন। এখন বিয়ের কথা বললে আমায় মারধর করে। আমি নিরুপায় হয়ে মামলা করেছি। মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। বদলি করিয়ে হয়রানি করছে। আমি এসবের সুষ্ঠু বিচার চাই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল মামুনের মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেল পূর্বাঞ্চলের সংকেত ও টেলিযোগাযোগের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মো. শাহিদুজ্জামান বলেন, ভুক্তভোগী আদালতে মামলা করেছি বলে শুনেছি।

মামলার আগে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নে ‘না’ সূচক উত্তর দেন তিনি।

সিএম

ksrm