চবির উপ-উপাচার্যের দপ্তরে ১০ কর্মচারীর অশালীন আচরণ, ব্যবস্থা নিতে রেজিস্ট্রারকে চিঠি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ-উপাচার্যের দপ্তরে তার উপস্থিতিতে অশালীন আচরণ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চালানোর অভিযোগ ওঠেছে ১০ কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপ-উপাচার্যের দপ্তর থেকে রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে উপ-উপাচার্যের জীবনের নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন উল্লেখ করা হয়।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) উপ-উপাচার্য দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার মোহা. আবদুল জাব্বার স্বাক্ষরিত চিঠি রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা অভিযুক্ত ১০ কর্মচারী হলেন রেজিস্ট্রার অফিসের জেনারেল শাখার ঊর্ধ্বতন সহকারী ওসমান গনি, খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ শাখার ঊর্ধ্বতন সহকারী হাবিবুল বাশার শান্ত, গ্রন্থাগার দপ্তরের উচ্চমান সহকারী ইব্রাহিম খলিল, জীব বিজ্ঞান অনুষদের ঊর্ধ্বতন সহকারী আরমান হেলালী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসের কম্পোজিটর গ্রেড-২ আলাউদ্দিন আলম, গ্রন্থাগার দপ্তরের বিলিওগ্রাফী কাজী তানজীম হোসেন, প্রেসের কম্পোজিটর গ্রেড-১ মুস্তাফিজুর রহমান সিতাপ, ফার্মেসি বিভাগের ঊর্ধ্বতন সহকারী সুকান্ত রুদ্র, মেডিকেল সেন্টারের উচ্চমান সহকারী তৌহিদুল ইসলাম জিমেল ও বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরের উচ্চমান সহকারী সাখাওয়াত হোসেন রায়হান।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য দপ্তর একটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর। এ দপ্তর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক ও একাডেমিক সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন হয়। উপ-উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের একজন সদস্য হন। গত ১৪ তারিখে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৯তম সিন্ডিকেট সভার ১০৫ নম্বর সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানার অজুহাতে উপ-উপাচার্য মহোদয়ের দপ্তরে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত তৃতীয় শ্রেণীভুক্ত নিম্নোক্ত কর্মচারীরা বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে অশালীন আচরণ, বিশ্রি অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শনপূর্বক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত হন।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এতে উপ-উপাচার্য মহোদয়ের জীবনের নিরাপত্তা ও উপ-উপাচার্য দপ্তরের শৃঙ্খলা হুমকির সম্মুখীন হয়। উপ-উপাচার্য দপ্তরের সিসিটিভি ক্যামরায় যাবতীয় তথ্যাদি সংরক্ষিত রয়েছে। চবি সিন্ডিকেটের ৫৩৭তম সভার পরেও উপরোক্ত কর্মচারীরা অনুরুপ আচরণ করেছিল।

Yakub Group

চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে এটি নিজেদের অভ্যন্তরীণ ও কনফিডেনসিয়াল বিষয় বলে জানান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে। উল্টো চিঠি প্রতিবেদকের হাতে কীভাবে গেলো তা জানতে চান।

তবে এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি বলে দাবি করেছেন অন্যতম অভিযুক্ত কাজী তানজিম হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের একটা দাবি ছিল অনার্স ও মাস্টার্স পাশ করে যারা চাকরিতে যারা যোগদান করেছে তাদের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন সহকারী থেকে অফিসার হওয়ার ক্ষেত্রে চার বছর থেকে তিন বছর, অর্থাৎ এক বছর রেয়াতি সুবিধা দেওয়া। গত ৩৩৭তম সিন্ডিকেটের ১৩০ নম্বর সিদ্ধান্তে ওই দাবিটা পাশ হয়েছে। গত সিন্ডিকেটে এটা কনফার্ম করার কথা ছিল। আমরা শুনেছি এখানে কেউ বিরোধিতা করেছে৷ আমরা এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম। এর বাইরে কোনো কিছুই হয়নি। ওনার সাথে কেউ কোনো খারাপ ব্যবহার করেনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, ‘চিঠির বিষয়ে যথাযথভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

এমআইটি/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm