একটি দোকান খোলা হল হঠাৎ। ভাসমান দোকান। মাটিতেই সাজানো হয়েছে দোকানটির পণ্যের পসরা। শোভা পাচ্ছে এতে রঙ-বেরঙের জামা-কাপড়। আর এই জামা কিনতে হাতে করে নিয়ে আসতে হল মাত্র দুই টাকা। দামি জামাই এই দরে হয়েছে বিক্রি এখানে।
বিক্রেতাদের কেউ আবার জাত কাপড় বিক্রেতা নন। তাদের কেউ পুলিশ অফিসার, কেউ বা ব্যবসায়ী কিংবা বড় পদের চাকরিজীবি! ওই দোকানের চাটাইয়ে বসে তারাই দুই টাকায় এসব জামা ‘বিক্রি’ করেছে শিশুদের কাছে।
বলছিলাম সামাজিক সংগঠন ‘যাত্রী ছাউনী’র একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগের গল্প। চট্টগ্রামের টাইগারপাস এলাকায় বস্তিতে থাকা শিশুদের মাঝে মাত্র দুই টাকায় ঈদের জামা বিক্রি করে তারা। সোমবার (১০ মে) এ আয়োজনটি করা হয়।
এ আয়োজনের প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাক।
তিনি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘সামাজিক সংগঠন যাত্রী ছাউনীর এ আয়োজনটি একটি মহান উদ্যোগ। সে বিবেচনায় অন্য সবাই যদি এভাবে এগিয়ে আসে তাহলে বাংলাদেশ একটি সমতার দেশে রূপান্তরিত হবে। আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্যোগগের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে আমরা আমাদের দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। এই যাত্রী ছাউনি আমাদেরকে সে পথের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’
আয়োজক কমিটির প্রধান ফরহাদ জিসান এ বিষয়ে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এ রকম আয়োজন করতে পেরে আমরা সত্যিই ধন্য এবং গর্বিত। সুবিধাবঞ্চিত শিশু এই শব্দটি যখন দেশ থেকে চলে যাবে তখন আমরা আমাদের এই কার্যক্রমে সফলতা পাব বলে বিশ্বাস করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিশুদের চাইলে আমরা বিনামূল্যে ঈদের জামা দিতে পারতাম। কিন্তু তারা যেন এই জামাকে করুণা মনে না করে তাই একটি জামার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দুই টাকার প্রতীকী মূল্য দিয়েই শিশুরা জামা সংগ্রহ করেছে। এই দফায় ৫০ জন শিশুকে এই জামা সরবরাহ করা হয়েছে।’
এমএফও