s alam cement
আক্রান্ত
৫১৪৯৯
সুস্থ
৩৭৪৯৪
মৃত্যু
৫৭৩

নিষেধাজ্ঞা ভেঙে ঈদে পর্যটকের ভিড় পারকি সৈকতে, তোয়াক্কা নেই স্বাস্থ্যবিধির

0

চট্টগ্রামের আনোয়ারা পারকি সমুদ্র সৈকতে লকডাউন উপেক্ষা করে হঠাৎ ভিড় জমিয়েছে হাজারো পর্যটক। ঈদুল ফিতরের তৃতীয় দিন রোববার বিকালে নানা বয়সী পর্যটকে মুখরিত হয়ে ওঠে সৈকত এলাকা। সমুদ্রে সাঁতার কাটা, আড্ডা, ঘোরাঘুরি, প্রিয়জনের সঙ্গে সেফলি তুলতে ব্যস্ত সবাই। সামাজিক দূরত্ব মানা কিংবা মাস্ক ব্যবহারের বালাই নেই কারও।

রোববার (১৬ মে) বিকাল সাড়ে ৫টায় উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. তানভীর হাসান চৌধুরী অভিযান চালিয়ে সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের ফিরিয়ে দেন। এ সময় থানা পুলিশের সদস্যরা তাকে সহযোগিতা করেন।

রোববার বিকালে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজার-হাজার পর্যটক ট্রাক, বাস, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন যানবাহন করে সৈকতে প্রবেশ করছে। পর্যটকের গাড়ির কারণে চাতরী চৌমহুনী ও বন্দর কমিউনিটি সেন্টারে ট্রাফিক পুলিশকে যানজট নিরসনে হিমশিম খেতে দেখা গেছে। সৈকতের প্রবেশ পথে পুলিশ থাকলেও সৈকতের চরে দেখা যায়নি কোনো পুলিশ সদস্যকে। সৈকতে আগত এসব পর্যটক সমুদ্রে সাঁতার কাটাসহ প্রিয়জনের সঙ্গে সেফলি তুলে ঈদের আনন্দ উপভোগ করছেন। তবে পর্যটকদের সামাজিক দূরত্ব মানতে কিংবা মাস্ক ব্যবহার করতে লক্ষ্য করা যায়নি। হোটেল ও রেস্টুরেন্টেগুলোও রয়েছে খোলা। সেখানেও একই চিত্র।

পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সৈকতে আগত এসব পর্যটকদের বেশিরভাগ স্থানীয়। আনোয়ারা, কর্ণফুলী, চন্দনাইশ, বাঁশখালী, পটিয়াসহ আশেপাশের উপজেলার মানুষ। ঈদের ছুটি কাটাতে বাড়িতে এসেছেন তারা। করোনা কারণে ঈদে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বেড়ানো যাচ্ছে বিধায় তারা সময় কাটাতে স্বজন-পরিজন নিয়ে সৈকতে চলে এসেছেন।

চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থেকে স্বপরিবারে বেড়াতে আসা আবদুল্লাহ্ আল মামুন জানান, চট্টগ্রাম নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো করোনার কারণে বন্ধ রয়েছে। করোনা আর ব্যস্ততার কারণে পরিবারকে নিয়ে কোথাও যাওয়া হয়নি এ দুই বছর। শুনেছি পারকি সৈকতে প্রবেশে বাধা নেই, তাই চলে এসেছি।

কর্ণফুলী থানার বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবদুর রহিম জানান, পারকি সৈকতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Din Mohammed Convention Hall

স্বাস্থ্যবিধি ও নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে উপর থেকে কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, করোনা মহামারী ও ঈদের সৈকতে প্রবেশে পর্যটকদের উপর জেলা প্রশাসক থেকে জারিকৃত নিষেধাজ্ঞা এখনো রয়েছে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের জারিকরা ১৮ দফা সিদ্ধান্ত জনগণকে মহামারি থেকে রক্ষা করার জন্য। সুতরাং তা মানতেই হবে। আজ বুঝিয়ে পর্যটকদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এসএ

ManaratResponsive

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm