পতেঙ্গার টিকে গ্রুপের মাঠে গাছের গুঁড়ির স্তূপ, পশুরহাটের বসাতে গিয়ে বিপাকে ইজারাদার

0

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানার বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে সম্প্রতি বেসরকারি একটি কোম্পানির আমদানিকৃত বড় বড় গাছের গুঁড়ির স্তূপে ভরে গেছে টিকে গ্রুপের খালি মাঠে।

অল্প সময়ে ওই কোম্পানির এসব গাছের স্তুপ সরানো সম্ভব না। এতে বিপাকে পড়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পশুর হাটের ইজারাদার।

দরপত্র অনুযায়ী উল্লেখিত জায়গায় পশুরহাট বসাতে অনুমতি দেয় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল আলম বলেন, ‘পশুরহাটের ইজারাদার যদি এসব গাছ সরাতে ব্যর্থ হন তাহলে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বরাবর দরখাস্ত করতে পারবেন। বিষয়টি নিয়ে মেয়র মহোদয় সিদ্ধান্ত দিবেন।’

টিকে গ্রুপের পশুরহাটের ইজারাদার অংশীদার মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘আমরা আগামী রোববার আবেদন করবো মেয়র মহোদয় বরাবর। আমাদের পশুরহাটের ইজারাদার আবুল হাশেম রাজা। ওনাদের পৈত্রিক জমি রয়েছে ১৫ নম্বর ঘাট এলাকায়। এটি প্রায় ১২ একর খালি জায়গা। অনুমতি পেলে সেখানে বসবে পশুরহাট।’

Yakub Group

এর আগে গত ২৬ জুন বিকেল চারটার দিকে দরপত্র খোলা হয়। সেখানে সবোর্চ্চ দরদাতার মাধ্যমে তিন অস্থায়ী পশুরহাটের ইজারা দেওয়ার তালিকাও প্রকাশ করে সিটি কর্পোরেশন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী পশুরহাটের মধ্যে রয়েছে কর্ণফুলী পশুরহাট বাজার (নুর নগর হাউজিং সোসাইটি), সল্টগোলা রেলক্রসিং সংলগ্ন স্থান। এছাড়া ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টিকে গ্রুপের খালি মাঠকে পশুরহাট হিসেবে ইজারা দেওয়া হবে বলে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

ইজারার শর্তে বলা হয়েছে, অস্থায়ী পশুরহাটে ইজারাদারকে নিজ উদ্যোগে জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে।

জানা গেছে, কোরবানির পশুরহাট ইজারা নিতে ১ কোটি ৫৩ লাখ ১০ হাজার টাকা ঘোষণা দিয়ে প্রথম ও সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছেন চট্টগ্রামের উত্তর পতেঙ্গা এলাকার বাসিন্দা আবুল হাশেম রাজা, ১ কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায় দ্বিতীয় দরদাতা জাহাঙ্গীর আলম এবং ১ কোটি ৫০০ টাকা ঘোষণা দিয়ে তৃতীয় দরদাতা হয়েছেন মমতাজ।

এমএ/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm