যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূ তার স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর থানায় দিলেন অভিযোগ। ওই গৃহবধূর অভিযোগ, তার স্বামী পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়লে এতে তিনি বাধা দেন। এরপর অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয় স্বামি। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার স্থানীয়ভাবে সালিশ-বিচারও হয়েছিল।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ হাছিনা বেগম (২৫) তার স্বামী বেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে কক্সবাজারের পেকুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত বেলাল উদ্দিন রাজাখালী ইউনিয়নের মাঝির পাড়া গ্রামের নুরুল আলমের ছেলে। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) দুপুরে পেকুয়া থানায় এ অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের মধুখালী গ্রামের মৃত মোজাফফর আহমদের মেয়ে হাছিনা বেগমের সাথে ২০১২ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় বেলাল উদ্দিনের। তাঁদের সংসারে সাত ও তিন বছর বয়সী দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর থেকেই হাছিনা বেগমকে যৌতুকের জন্য মারধর করে স্বামী বেলাল উদ্দিন। পরে বেলাল পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়লে এতে বাধা দেয় হাছিনা বেগম। এতে করে হাছিনার ওপর অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয় বেলাল। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার স্থানীয়ভাবে সালিশ-বিচারও হয়েছিল।
সালিশের পর স্বামী বেলাল উদ্দিন কিছুদিন নীরব থাকলেও সম্প্রতি পুনরায় অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করে। একপর্যায়ে হাছিনা বেগম ও তাঁর সন্তানদের খোরপোষ দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার দিনগত রাত দুইটার দিকে গৃহবধূ হাছিনা বেগমের কাছে এক লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে স্বামী বেলাল উদ্দিন।
এতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে উপর্যুপরি কিল, ঘুষি মেরে মুখে, চোখে ও কপালে মারাত্মকভাবে জখম করে। এসময় তাঁর গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা চেষ্টাও চালায় পাষণ্ড স্বামী বেলাল উদ্দিন।
নির্যাতিত গৃহবধূ হাছিনা বেগম বলেন, মারধরের সময় আমার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে। নয়তো সে আমাকে জানে মেরে ফেলত। পরে আত্মীয়স্বজনেরা এসে আমাকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুর রহমান বলেন, গৃহবধূ হাছিনা বেগমের লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কেএস