মধ্যরাতের চট্টগ্রামে তিন হাজার কোটির খোঁজে ‘চেম্বার’ মাহবুবের বাসায় যৌথ অভিযান
আগস্টের পর আর দেশে ফেরেননি
তিন হাজার কোটি টাকার খোঁজে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ সমর্থক শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা মাহবুবুল আলমের বাসায় যৌথ অভিযান চালিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জভিত্তিক ব্যবসায়ী মাহবুব আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অবৈধ উপায়ে দেশে ও বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশের সুগন্ধা আবাসিক এলাকায় ওই অভিযান শুরু হয়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার আগে মাহবুবুল আলম দেশ ছাড়েন। এরপর তিনি আর বাংলাদেশে আসেননি। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়ে আসছে, মাহবুবুল সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গেছে, মাহবুবুল আলমের সুগন্ধা ১ নম্বর সড়কের বাসায় বিপুল পরিমাণ টাকা ও বৈদেশিক মুদ্রা থাকার গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে সোমবার গভীর রাতে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে এতে অংশ নেয় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি টিম।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম ২০২৩ সালের ১৫ আগস্ট দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতির দায়িত্ব নেন। এর পেছনে বড় ভূমিকা রাখেন ক্ষমতাচ্যূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা বর্তমানে কারাবন্দি সালমান এফ রহমান।
ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে গত সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে সিঙ্গাপুর থেকে তিনি ই–মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতির পদ ছাড়েন।
এর আগে ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট প্রভাব খাটিয়ে নিজের এক মেয়ে রাইসা মাহবুবকে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি বানিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মাহবুবুল আলম। তার আরেক মেয়ে মুনাল মাহবুব গত ৪ ডিসেম্বর চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। এতেও মাহবুব নানাভাবে বিদেশে থেকেও প্রভাব খাটিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সিপি