চট্টগ্রামে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন তরুণ চিকিৎসক তাহসিন আজমী।
রোববার (৩ আগস্ট) রাতে নগরীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তবে এ খবর নিশ্চিত করে সোমবার (৪ আগস্ট) বিকালে গণমাধ্যমে তথ্য দেয় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।
চিকিৎসক তাহসিন (২৮) চট্টগ্রাম ইপিজেড এলাকার ইয়ংওয়ান লিমিটেডে চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বসবাস করতেন হালিশহর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়। তার স্বামী তৌহিদুল ইসলাম একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তাদের একমাত্র সন্তান, ছোট্ট কন্যা সুহাইরার বয়স মাত্র আড়াই বছর।
তৌহিদুল ইসলাম জানান, ২৯ জুলাই তাহসিনের জ্বর আসে। পরদিন পরীক্ষায় ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। ৩১ জুলাই প্লাটিলেট সংখ্যা ৩০ হাজারে নেমে এলে তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। ১ আগস্ট সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। অবস্থার অবনতি হলে পরদিন লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত রোববার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
চোখের জলে স্ত্রীর শেষ মুহূর্তের কথা স্মরণ করে তৌহিদুল বলেন, শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল তাহসিনের। কথা বলতে পারছিল না। আইসিইউতে আমার হাত ধরে বলছিল — ‘আমাকে সুহাইরার জন্য বাঁচতে হবে।’ এটিই ছিল তাহসিনের শেষ কথা। এরপর জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
তৌহিদুল অভিযোগ করে বলেন, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে পরীক্ষাগুলো খুব ধীরগতিতে হচ্ছিল। চিকিৎসকদের মধ্যে সমন্বয় ছিল না। একবার বলা হচ্ছিল রোগী স্থিতিশীল, পরক্ষণেই আবার খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। এই সময়টাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বিভ্রান্তিকর ছিল।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, এনিয়ে চলতি বছরে চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১২ জনে। আক্রান্তের সংখ্যা ৯৪৫ জন ছাড়িয়ে গেছে।
জেজে/ডিজে