চট্টগ্রাম ফটিকছড়িতে ‘জিকরে শাহানশাহ্, মাইজভান্ডারি দর্শন’ শীর্ষক আলোচনা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মাইজভান্ডারি সঙ্গীত জগতে অবদান রাখার জন্য পাঁচ শিল্পীকে সম্মাননাস্বরূপ ব্যাচ, উত্তরীয় ও স্মারক প্রদান করা হয়। শিক্ষায় বিভিন্ন পর্যায়ে কৃতিত্ব অর্জন করায় প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা স্মারক প্রদান করা হয়।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার হারুয়ালছড়িতে ‘শোকর-এ মওলা মনজিল’র ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক ও SZHM Trust এর উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন।
প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাওলানা মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ্। তিনি বলেন, ইসলাম হলো ভালোবাসা তথা মহব্বত ও মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার নাম। যার কাছে অন্য ধর্মের মানুষ নিরাপদ তিনিই প্রকৃত মুসলমান।
সভাপতির বক্তব্যে মাইজভান্ডারি গবেষক শাহেদ আলী চৌধুরী বলেন, কুরআন মুত্তাকিনদের পথ দেখায়। আল্লাহর অলীরা হচ্ছেন ঈমানের প্রতীক। গাউসুল আজম মাইজভান্ডারি (ক.) আল্লাহর রাসূলের (স.) আদর্শকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন। আর যার মধ্যে জ্ঞানের গভীরতা, মাটির মতো নম্রতা, মনে উদারতা আছে তিনিই আল্লাহর অলী। মাইজভান্ডার হচ্ছে ঈমানের অভয়ারণ্য।
এতে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন মাহফিল পরিচালনা কমিটির আহবায়ক মুহাম্মদ আজম, আশেকানে হক ভাণ্ডারী, শোকর-এ মনজিলের উপদেষ্টা ডা. পঞ্চানন দাশগুপ্ত।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জয়নাল আবেদীন তাওরাত ও হারুয়ালছড়ি বৌদ্ধ জেতবন বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ বোধিশ্রী ভিক্ষু। মনজিলের কার্যক্রম সংবলিত ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করেন উপদেষ্টা সৈয়দ শফিউল আজিম সুমন। অনুষ্ঠানে শোকর-এ মওলা মনজিল’র লোগো উন্মোচন করেন অতিথিরা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আশেকানে হক ভাণ্ডারী, শোকর -এ মনজিলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ শাহরিয়ার আসিফ।
অনুষ্ঠান শেষে জিকিরে সেমা মাহফিল পরিচালনা করেন মাইজভান্ডারি কাওয়াল মুহাম্মদ দেলোয়ার ও হান্নান হোসাইনী।