চট্টগ্রামের ৮৩৫ গ্রাম আদালত সক্রিয় করতে বিভাগীয় সম্মেলন

চট্টগ্রামের আট জেলার ৮৩৫ ইউনিয়নের গ্রাম আদালতগুলো আরও সক্রিয় করতে এক বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে গ্রাম আদালতের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও স্থানীয় সরকার বিভাগের আয়োজনে ‘গ্রাম আদালত সক্রিয়করণে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা ও করণীয়’ শীর্ষক এ বিভাগীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীনের সভাপতিত্বে এ সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাড়া ৮ জেলার প্রতি উপজেলা থেকে দু’জন করে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/প্যানেল চেয়ারম্যান, প্রতি জেলা থেকে চারজন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সকল উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার উপস্থিত ছিলেন।

বিভাগীয় সম্মেলনের প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ-৩য় পর্যায় প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক একেএম তারিকুল আলম। তিনি বলেন, গ্রাম আদালত বিচারিক সেবার একটি কার্যকর মাধ্যম, যা তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তিনি স্থানীয় সরকার, ইউএনডিপি ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে এ প্রকল্পে সহযোগিতায় জন্য ধন্যবাদ জানান।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিএমপির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম)হেসোইন মোহাম্মদ কবির ভুইয়া, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।

স্বাগত বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকারের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ও পরিচালক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা। দাতা সংস্থা ইউএনডিপি’র পক্ষে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ-৩য় পর্যায় প্রকল্পের টিম লিডার (প্ল্যানিং এমঅ্যান্ডই এন্ড রিপোর্টিং) মোহাম্মদ সিরাজুল হক।

আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা রির্সোস টিমের সদস্যগণ, জেলা তথ্য ও লিগ্যাল এইড অফিসার, বিভাগীয় কমিশনার অফিসের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিনিধি।

গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ-৩য় পর্যায় প্রকল্পের চট্টগ্রাম বিভাগের কার্যক্রম ও অগ্রগতি নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন স্থানীয় সরকারে উপপরিচালক মো. নোমান হোসেন।

সম্মেলনে বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৮টি জেলার (চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর, লক্ষীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী – পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩টি জেলা ব্যতীত) ৭৮টি উপজেলায় প্রকল্পটির স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রকল্প এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নেতৃত্ব ও ভূমিকা প্রশংসনীয়।

প্রকল্পটি ৩য় পর্যায়ে দেশের ৮টি বিভাগের ৬১ জেলার ৪৬৮টি উপজেলার ৪ হাজার ৪৫৩টি ইউনিয়নে জনগণের কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm