চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় জঙ্গল সলিমপুরের ছিন্নমূল বস্তি ও পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীদের সাথে র্যাবের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে র্যাব। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় পাঁচজনকে।
শনিবার (৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ অভিযান চালায় র্যাব।
আটককৃতরা হলেন রফিকুল ইসলাম মালু, সিরাজুল ইসলাম, মো. হাসান, জামাল শেখ ও মিজানুর রহমান কাদের। এদের সবার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩০টির বেশি মামলা রয়েছে।
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার বলেন, ‘অভিযান শুরু করতেই স্থানীয় সন্ত্রাসী মশিউরের ছেলে সন্ত্রাসী শিবলুর নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী র্যাবকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। তারা লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে র্যাবের উপর অতর্কিত আক্রমন চালায়। আটককৃতদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে পাহাড়ী এলাকা থেকে গুলি শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। সন্ত্রাসীরা গুলি করতে করতে দূর্গম পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও বিভিন্ন অস্ত্র দ্বারা ১২৯ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। র্যাব এলাকাটিকে ঘিরে রাখে। পরবর্তীতে আরও ফোর্স নিয়ে সন্ত্রাসীদের আস্তানায় ব্যাপক তল্লাশী শুরু করে।’
তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে ১০টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, একটি বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র, একটি ধারালো ছোরা এবং মোট ২২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে মিলিটারী গেজেট, মিলিটারী পোশাক, মিলিটারী বাইনোকোলার ও অবৈধ ধাতব মুদ্রা উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের ভিত্তিতে পৃথক তিনটি অস্ত্র মামলা দায়ের করা হবে। এছাড়া র্যাবের উপর আক্রমন, সরকারী কর্তব্যে বাধা প্রদান, র্যাব এসোল্ট, মিলিটারী উপকরণ ও অবৈধভাবে ধাতব মুদ্রা রাখায় পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করা হবে।
এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর ভোরে জঙ্গল ছলিমপুর থেকে র্যাবের হাতে আটক হয় ২৭ মামলার আসামি, ছিন্নমূল সংগঠনের নেতা ও চট্টগ্রামের অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী ও সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মশিউর রহমান। এ সময় তার কাছে থেকে দুই রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন সহ একটি বিদেশী পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, দুইটি এলজি, একটি দুনলা বন্দুক ও ১৩ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
আরএম/এমএফও