সাতকানিয়ায় ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে মারা যাওয়া শিশুর পরিচয় মিলেছে

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ট্রেনের ছাদ থেকে পডে মারা যাওয়া অজ্ঞাত শিশুটির পরিচয় শনাক্ত হয়েছে।

শিশুটির নাম রাকিবুল ইসলাম (১২)। সে উপজেলার বাজালিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহালিয়া গ্রামের উত্তর পাড়ার সিএনজি অটোরিকশা চালক আব্দুল মান্নানের ছেলে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটলেও রাতেই শিশুটির পরিচয় শনাক্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে নামাজের জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

শিশুটির বাবা আব্দুল মান্নান বলেন, ঘটনার তিনদিন আগে রাকিবুল ঘর থেকে বের হয়ে যায়। তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া যায়নি। দিনের বেলায় শুনলাম ট্রেনের ছাদ থেকে পরে এক শিশু মারা গেছে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া লাশের ছবি দেখে অনুমান করি, মারা যাওয়া শিশুটি আমার ছেলে রাকিব হতে পারে। পরে আমার বড় ছেলে রবিউল ইসলাম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে গিয়ে লাশ দেখে রাকিবুলকে শনাক্ত করে। আমিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মর্গে গিয়ে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে লাশ বাড়িতে নিয়ে আসি।

আব্দুল মান্নান আরও বলেন, গত তিন মাস আগেও রাকিবুল কাউকে না বলে পালিয়ে গিয়েছিল। পরে খবর পেয়ে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করলেও সে নিয়মিত স্কুলে যেত না। সব সময় বখাটেদের সঙ্গে ঘুরাফেরা করতো।

জানা গেছে, কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে ট্রেনটি বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে। দুপুর ২টার দিকে ট্রেনটি সাতকানিয়া রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে। স্টেশন থেকে কয়েকশ ফুট দূরে ট্রেনটি সাতকানিয়া-বাঁশখালী সড়কের রেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় শিশুটি ট্রেনের ছাদে দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল। এ সময় একটি ডিশ লাইনের তারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে শিশুটি চলন্ত ট্রেন থেকে নিচে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠান। শিশুটির অভিভাবক না থাকায় হাসাপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী বশির আহমদকে দেখভালের জন্য সাথে দেওয়া হয়। ঘটনার দুই ঘণ্টা পর শিশুটিকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি পটিয়া উপজেলা পর্যন্ত পৌঁছালে তার মৃত্যু হয়।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm