সাতকানিয়ায় রোহিঙ্গা শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার, মামা গ্রেপ্তার

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অপহরণের ১৩ দিন পর সাতকানিয়ার কৃষি জমি থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে তাকে অপহরণ করে তার আপন মামা। এ ঘটনায় ‘খুনি’ মামাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নিহত শিশুর নাম মো. একরাম (১৩)। সে কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার বালুখালী রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের ১০ নম্বর ক্যাম্পের জি-৩৭ ব্লকের মো. ইদ্রিসের ছেলে।

ঘাতকের নাম মো. কামাল হোসেন (২৮)। তিনি একই উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের বি-১০ ব্লকের আবুল কাশেমের ছেলে। সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের বিসমিল্লাহ ব্রিকস (বিবিসি) নামে একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন তিনি।

কামালের দেখানো জায়গা থেকে বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকালে সাতকানিয়ার কালিয়াইশ ইউনিয়নের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাঠানি পুলের পূর্ব পাশে গড়লা খাল পাড়ের কৃষি জমি থেকে ওই লাশ উদ্ধার করে। এ সময় উখিয়া থানা পুলিশের সঙ্গে সাতকানিয়া থানার পুলিশও উপস্থিত ছিল।

নিহত শিশু একরামের বড় চাচা মো. ইউনুস বলেন, আমার ছোট ভাই ইদ্রিস উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিবার নিয়ে বসবাস করে। গত ৩ এপ্রিল ভাইয়ের শ্যালক মো. কামাল আমার ভাইপো একরামকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ক্যাম্প থেকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে কামাল ভাইপো একরামকে অপহরণ করা হয়েছে বলে ইদ্রিসের (বাবা) কাছে মোবাইল ফোনে মুক্তিপণ দাবি করে। ইদ্রিস মুক্তিপণ দিতে রাজি হয়নি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও একরামকে পাওয়া যায়নি।

গত ১৪ এপ্রিল রাতে ইদ্রিস বাদি হয়ে উখিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উখিয়া থানা পুলিশ কামালকে একই রাতে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে (কামাল) মুক্তিপণের টাকা না দেওয়ায় একরামকে খুন করেছে বলে স্বীকার করে।

পরে কামালের দেখানো জায়গা থেকে একরামের লাশ উদ্ধার করে উখিয়া থানা পুলিশ।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, সাতকানিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় কক্সবাজারের উখিয়া থানা পুলিশের একটি টিম আসামিকে সঙ্গে নিয়ে সাতকানিয়ায় যায়। সেখানে কেঁওচিয়া ইউনিয়নের পাঠানিপুল এলাকার একটি কৃষি জমি থেকে এক বালকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে। লাশটি উদ্ধারের পর উখিয়া থানা পুলিশ নিয়ে গেছে।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm