স্ত্রীর সঙ্গে পরকিয়ার সন্দেহ, পোশাক কারখানার কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যা ‘স্বামীর’

0

স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর স্বামী পরকিয়ার সন্দেহে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় আবু তাহের নামের এক পোশাক কারখানার কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। নিহত রাঙামাটির কাউখালী থানার নাইল্যারছড়ি আইয়ুব আলী বাড়ির মৃত শামছুদ্দিন মুন্সীর পুত্র আবু তাহের (৪৮) কর্ণফুলী ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। পাশপাশি তিনি চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা থানার স্টিলমিল নুর নবী গলির মোস্তফা বিল্ডিংয়ে ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। ওই বিল্ডিংয়ের তার প্রতিবেশি হিসেবে ১২ বছরের সন্তানকে নিয়ে থাকেন রওশন আরা। তার স্বামীর আব্দুল জলিল থাকেন নোয়াখালী। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়াঝাটি লেগে থাকত। বেশ কয়েকবার বিল্ডিংয়ের ইনচার্জ খুন হওয়া আবু তাহের তাদের দাম্পত্য কলহ সমাধান করে দিতেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদও হয়। বিবাহ বিচ্ছেদের পরও প্রায় স্ত্রীকে ফোন করে বিরক্ত করতেন ‘স্বামী’ আব্দুল জলিল। একইসঙ্গে বিল্ডিংয়ের ইনচার্জ আবু তাহেরকে তার স্ত্রীর সঙ্গে পরকিয়ার সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করতেন আব্দুল জলিল।

গত ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালী থেকে চট্টগ্রামের সাবেক স্ত্রী রওশন আরার সঙ্গে দেখা করতে এসে ‘স্ত্রীর’ বাসায় উঠেন আব্দুল জলিল। তিনি বাসা থেকে বাইরে গেলে এক ফাঁকে ছেলেকে নিয়ে বাসা থেকে পালিয়ে যায় রওশন আরা। ১৬ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক রাত ৮টার দিকে পরে বাসায় ফিরে সাবেক স্ত্রীকে না পেয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে বিল্ডিংয়ের ইনর্চাজের কাছে জিজ্ঞাসা করতে যান আব্দুল জলিল।

তার স্ত্রী ও সন্তানকে লুকিয়ে রেখেছেন এমন সন্দেহে আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে তার মামাত ভাই ও মামাত বোনোর স্বামী মিলে আবু তাহেরকে জিজ্ঞাসা করার একপর্যায়ে কিল-ঘুষি মেরে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যান তিনজনই। গুরুতর আহত অবস্থায় আবু তাহেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) দিনগত রাত পৌনে দুইটার দিকে আবু তাহের মারা যান।

এদিকে ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত আব্দুল জলিলকে (৪০) তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী কিল্লারহাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ‘আবু তাহের নিহতের ঘটনায় প্রধান আসামি আব্দুল জলিলকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে নোয়াখালী কিল্লারহাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আসামিকে আলাদাতে মাধ্যমে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।’

মুআ/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm