s alam cement
আক্রান্ত
৮১২১৭
সুস্থ
৫৫২০৮
মৃত্যু
৯৫৮

ভিডিও/ হাঁটু পানিতে চায়ের আড্ডা— ছাত্রলীগ নেতার ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ চট্টগ্রামে

0

চট্টগ্রামের জনজীবনে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি নাগরিক ভোগান্তি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। সামান্য বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় দেশের এই বাণিজ্যিক রাজধানী। বছরের পর বছর ধরে এই জলাবদ্ধতা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হলেও এ থেকে মুক্তি মেলেনি মানুষের। চট্টগ্রামের মানুষ সবসময়ই জলাবদ্ধতা নিয়ে নিজেদের ক্ষোভ বিরক্তির জানান দিয়েছে নানাভাবে। তবে জলাবদ্ধতা নিয়ে এবার খানিকটা ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিবাদ জানালেন চট্টগ্রামের এক ছাত্রলীগ নেতা।

বন্ধুকে নিয়ে পানিতে ডুবে থাকা খেলার মাঠে চেয়ার পেতে চা খাওয়ার ভিডিও ফেসবুকে দিয়ে গোলাম সামদানী জনি নামের ওই ছাত্রলীগ নেতা লিখেছেন, ‘খাল, নালা, বিল অবৈধ্ভাবে দখল করে আমরা নিজেদেরকে পানিবন্দি করে ফেলছি। আমাদের আগামী হবে পানিময় তাই এখন থেকেই অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা।’

গোলাম সামদানী জনি চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। নিজের বাসার পাশে হালিশহর বিডিআর মাঠের হাঁটুসমান পানিতে বসে এই চায়ের আড্ডা জমান তিনি। সেখানে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাটও।

পানির মধ্যে বসে কেন এমন প্রতিবাদ জানতে চাইলে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জনি বললেন, ‘পানির মধ্যে বসে না থেকে কী আর করব? কয়েক বছর পর তো এমনটাই হবে সব সময়। কই যাবো বলেন? ঘরে পানি, রাস্তায় পানি, মাঠে পানি, যাবো কোথায় আমরা?’

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার আরেক ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ— জাল হাতে নিজের ঘরের উঠানেই ধরছেন মাছ।
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার আরেক ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ— জাল হাতে নিজের ঘরের উঠানেই ধরছেন মাছ।
Din Mohammed Convention Hall

জলাবদ্ধতার কারণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে জনি বলেন, ‘অবৈধ দখলদাররা নালা,পুকুর দখল করে গড়ছেন ভবন। বর্ষার পানি যাওয়ার জায়গাও রাখেনি সামান্য। তাই বাধ্য হয়েই সেইসব দখলদারদের বিরুদ্ধে আমার এমন ব্যতিক্রমী প্রতিক্রিয়া। এসব যেহেতু থামানো যাচ্ছে না সেহেতু আমাদের জলাবদ্ধতার সাথে মানিয়ে নেওয়ার অভ্যাস করতে হবে। আমি সেটাই করছি।’

জনির এই কথাগুলো একেবারেই অমূলক নয়। এই মুহূর্তে চট্টগ্রাম করোনা চিকিৎসার ভয়াবহ এক সংকট মোকাবেলা করছে। হাসপাতালগুলোতে শয্যা খালি নেই। রোগীদের স্বজনদের ছোটাছুটি এমনিতেই বড়সড় রকমের ভোগান্তি। এর মধ্যে বেসরকারি মা ও শিশু হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি করোনা রোগীর চিকিৎসা হচ্ছে সেই হাসপাতালটিই গত তিনদিন ধরে হাঁটু জলে ডুবে আছে।

সমাধানের জন্য মানুষ যার কাছে যাবেন সেই নগরপিতা নিজেই রয়েছেন জলাবদ্ধতায় গৃহবন্দি। চসিক মেয়র রেজাউল করিমের বাসাতেই উঠেছে হাঁটুপরিমাণ পানি।

শুধু জনিই নন, সাধারণ মানুষও জলাবদ্ধাকে নিয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জানাচ্ছেন প্রতিবাদ।

ফেসবুকে একজনকে দেখা যায়, জাল হাতে নিজের ঘরেই ধরছেন মাছ। তিনি এই ছবিটির মাধ্যমে যে জলাবদ্ধতার বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তা স্পষ্ট বোঝা যায় তার ফেসবুক পোষ্টে।

গত দুদিনের ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামের অধিকাংশ এলাকাই তলিয়ে গেছে পানির নিচে। আর নগরীর অধিকাংশ নালা ও খাল দখল ছাড়াও পলিথিনের আবর্জনায় বৃষ্টির পানি নামতে পারছে না সহজে। তাই সামান্য বৃষ্টিতেই নগরবাসীকে ভুগতে হচ্ছে জলাবদ্ধতায়।

সিপি

ManaratResponsive

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm