চাকরিজীবী লীগ বানিয়ে আওয়ামী লীগে দুই পদ হারানো ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে তার বাসা থেকে আটক করেছে র্যাব। এর আগে তার বাসায় প্রায় চার ঘণ্টা ধরে অভিযান চালানো হয়। রাত সোয়া ১২টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেলেনাকে র্যাব সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাতে ঢাকার গুলশান ২ নাম্বারের ৩৭ নম্বর রোডস্থ হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান চলাকালে সাত ধরনের নিষিদ্ধ জিনিসপত্র পাওয়া গেছে তার কাছ থেকে। এগুলো হচ্ছে বিদেশী মদ, হরিণের চামড়া, ক্যাসিনো খেলার সরঞ্জাম, বিদেশি মুদ্রা, ওয়াকিটকি সেট, ড্রোন ক্যামেরা ও ক্যাঙ্গারু চামড়া। এছাড়া পাওয়া গেছে বিভিন্ন ধরনের অনেকগুলো চাকু। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু এক ব্রিফিংয়ে এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ নামের একটি সংগঠন বানিয়ে নেতার খোঁজে ফেসবুকে প্রচারণা চালানোর ঘটনায় বিতর্কের মুখে পড়া হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্যপদ থেকে বাদ দেওয়া হয়। হেলেনা দলটির মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ছিলেন।
এদিকে এর পাশাপাশি কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদেরপদ থেকেও হেলেনা জাহাঙ্গীরকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জয়যাত্রা টেলিভিশন নামের একটি অনলাইন টিভির সিইও হেলেনা জাহাঙ্গীর সম্প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে জেলা, উপজেলা ও বিদেশি শাখায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন। ওই সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হেলেনা জাহাঙ্গীর আর সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মনির।
ফেসবুকে নেতা বানানোর এমন ঘোষণা ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে হেলেনা জাহাঙ্গীর কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হন।
সেখানকার সাংসদ ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু মারা গেলে ওই আসনে মনোনয়নের জন্য তিনি দলীয় ফরম সংগ্রহ করলেও মনোনয়ন পাননি। পরে গত জানুয়ারিতে তিনি আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য হন। এই উপকমিটিতে যুক্ত করার জন্য বেশ কজন কেন্দ্রীয় নেতা ও মন্ত্রীর সুপারিশ ছিল বলে জানা যায়।