আরও ১২০ টন ত্রাণ নিয়ে মিয়ানমারের পথে নৌবাহিনীর জাহাজ

ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত মিয়ানমারের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে এবার দেশটিতে আরও ১২০ মেট্রিক টন ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’ ত্রাণসামগ্রী নিয়ে রওনা হয়। নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান নিজে উপস্থিত থেকে সার্বিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নির্দেশনায় এবং সশস্ত্র বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতা ও তত্ত্বাবধানে এই সহায়তা পাঠানো হয়েছে। সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী, সেনা কল্যাণ সংস্থা ও রেড ক্রিসেন্ট ত্রাণসামগ্রী সরবরাহে অংশ নেয়।

১২০ মেট্রিক টন ত্রাণের মধ্যে রয়েছে—৭৭ মেট্রিক টন শুকনো খাবার, ৯ টনের বেশি তাঁবু ও পোশাক, ২৯ টন বিশুদ্ধ পানির জার, ৪ টন হাইজিন কিট ও ১ টন ওষুধসহ জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম।

এসব ত্রাণ মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বন্দরে পৌঁছাবে আগামী ১১ এপ্রিল, সেখানে মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধি দলের কাছে তা হস্তান্তর করা হবে।

নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আরিফের নেতৃত্বে জাহাজটি এই দায়িত্ব পালন শেষে দেশে ফিরে আসবে। ত্রাণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ শেষে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান বলেন, ‘এই ত্রাণ সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বিদ্যমান পারস্পরিক সহযোগিতা, কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং সুপ্রতিবেশি সুলভ মনোভাব আরও সুদৃঢ় হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠলে রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধান আরও সহজ হবে।’

গত ২৮ মার্চ মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এর আগেও বাংলাদেশ সরকার সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর মাধ্যমে দুটি ধাপে ৩১ দশমিক ৫ মেট্রিক টন ত্রাণ, উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা পাঠিয়েছে।

জেজে/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm