ওষুধের দোকানের স্টাফরা কেন গিয়াস কাদেরকে চান? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাস্যরসের ঝড়

চট্টগ্রামের রাউজানে ধারাবাহিক সন্ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানের পদ হারানো গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পদ ফিরিয়ে দিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম মেডিকেলের কিছু ওষুধের দোকানের কর্মচারী।

নগরীর ওষুধের দোকানের কর্মচারীরা কেন গিয়াস কাদেরের পদ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলছেন— এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে অবশ্য এও প্রশ্ন তুলছেন, ওষুধের দোকানের সঙ্গে পদ হারানো ভাইস চেয়ারম্যানের কী সম্পর্ক?

রোববার (৩ আগস্ট) গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর দলীয় পদের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পূর্ব গেইটে অবস্থিত ওষুধের দোকানগুলোর ৮-১০ জন কর্মচারী অংশ নেয়।

পরে তারা একটি ছোট মিছিল করে মানববন্ধন কর্মসূচি শেষ করে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ওষুধের দোকানের কর্মচারীরা দলমত নিবিশেষে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ আছে।

রাউজানের স্বাভাবিক রাজনীতির পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে গিয়াস কাদেরের পদপদবির ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।

এদিকে এমন কাণ্ডে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করছেন। কেউ কেউ বলছেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায়ে অভিযুক্ত রাউজানের বিএনপি নেতার সঙ্গে মেডিকেল পূর্ব গেইটের ওষুধের দোকানের কর্মচারীদের কী সম্পর্ক?’

গত ২৯ জুলাই বিকেলে চট্টগ্রাম–রাঙামাটি সড়কের রাউজানে সত্তারহাট এলাকায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদ্য সাবেক আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারীদের ওপর হামলা চালায় বিএনপির গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হন। ছররা গুলিতে আহত হন গোলাম আকবর খন্দকার নিজেও। এ সময় তার গাড়িবহরেও হামলা করা হয়।

ঘটনার পর পরই রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর পদ স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm