ক্লাসের বেঞ্চে বসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে রাহাতকে হত্যা করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য জানিয়েছে, পুলিশের হাতে তার চার সহপাঠী।
রাহাত নগরীর সানোয়ারা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে ব্রাদার্স ইউনিয়ন জুনিয়র দলের হয়ে ক্রিকেট খেলতো।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বন্ধুতের সঙ্গে বের হয় রাহাত। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনা পুলিশকে জানায় তার পরিবার। কিন্তু বুধবার সকালে কর্ণফুলী নদীর হামিদচর অংশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পরপর বিকালে তার চার সহপাঠীকে আটক করে পুলিশ।
চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তানজির আহমেদ বলেন, ‘বুধবার সকালে স্কুলছাত্র রাহাতের লাশ নদী থেকে উদ্ধারের পরপরই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ধরতে পুলিশ মাঠে নামে। তদন্তের প্রথমেই আসে রাহাতের চার বন্ধুর নাম। যাদের সাথে রাহাত ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিল। পরে রাহাতের চার বন্ধুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।’
তিনি আরও জানান, ‘আটক ৪ জনের একজন জানিয়েছে—ক্লাসের বেঞ্চে প্রথমে বসা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে রাহাতের ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার সূত্র ধরেই বন্ধুরা তাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে।
নিহত রাহাতের বাবা লিয়াকত আলী বাদি হয়ে রাহাতের চার বন্ধুকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।
আইএমই/ডিজে