বৃহস্পতিবার গভীর রাত। ঘড়ির কাঁটা তখন ২টার আশপাশে। স্থান বহদ্দারহাট মোড়। পুলিশ বক্সের পাশে ফুটপাতেই ঘুমাচ্ছে কয়েকজন। পাশে জ্বলছে মশা তাড়ানোর কয়েল। দিনভর হয়তো হাত পেতে কেটেছে তাদের। ঘুমের ঘোরে বিভোর একজনের দিকে এগিয়ে গেলেন সাদা পাঞ্জাবির গায়ে দেওয়া কেউ। জাগিয়ে তুললেন তাকে। আর হাতে দিলেন খাবারের প্যাকেট। সঙ্গে এক বোতল পানিও। এই খাবারের প্যাকেট হাতে পেয়ে ঘুম-চোখে থাকা ওই পথশ্রান্তের চোখ ছানাবড়া! কারণ যার হাত থেকে তিনি খাবার নিলেন তিনি সাধারণ কেউ নন! এই নগরের অভিভাবক।
বলছিলাম চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিমের কথা। নগরজুড়ে এভাবেই নিজ হাতে সেহেরির খাবার বিতরণ করে বেড়াচ্ছেন তিনি।
জানা গেছে, রমজানে প্রতিদিনই নগরীর বিভিন্ন স্থানে ব্যক্তিগত উদ্যোগে সেহরির খাবার বিতরণের আয়োজন করেছেন রেজাউল করিম। নিজ হাতেই রান্না করা খাবার নিয়ে হাজির হচ্ছেন অসহায়-ভাসমান মানুষের সামনে। ট্রাকে করে খাবার নিয়ে মানুষের কাছে যাওয়ার এই আয়োজন প্রশংসিত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেককেই এই কর্মসূচির প্রশংসা করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের কঠিন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি আজ গোটা দুনিয়া। বাংলাদেশেও করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমনের ফলে জনস্বাস্থ্য সংরক্ষণ বিবেচনায় সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে সরকার।’
তিনি বলেন, ‘এ অবস্থায় ভাসমান মানুষ চরম অসহায় হয়ে পড়ছে। তারা যাতে পেটভরে সেহরি খেয়ে রোজা রেখে সওয়াব অর্জন করতে পারে সে জন্য তাদের পাশে থাকা উচিত। এ ব্যাপারে আমি সামর্থ্যবান সকলের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করি। আমি নিজেও যেটুকু পারি চেষ্টা করছি মানুষের পাশে দাঁড়াতে।’
Akdin dekhale kichu hobe na/ permanent kichu koren . goribra doa korbe//