২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভেঙে পড়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। এরপর অনেক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য কর্মস্থলে না গিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য অন্তরালে চলে যান, অনেকে যান পালিয়ে। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বরখাস্তের এ আদেশ দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপনগুলোতে সই করেন উপসচিব নাসিমুল গনি।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, চট্টগ্রাম রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ও বর্তমানে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে কর্মরত নূরে আলম মিনা গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।
গত বছরের ২১ আগস্ট চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনাসহ চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনার (ডিআইজি) মো. সাইফুল ইসলামকে রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত করে বদলি করা হয়েছিল। এর মধ্যে সাইফুল ইসলামকে গত ২৫ মে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি তাকে রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এবং বর্তমানে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত মানস কুমার পোদ্দার গত বছরের ১৮ অক্টোবর থেকে কর্মস্থলে নেই বলে জানানো হয় আরেক প্রজ্ঞাপনে।
তৃতীয় প্রজ্ঞাপনে গাজীপুরের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রহমত উল্লাহ চৌধুরীকে অনুপস্থিত থাকার দায়ে বরখাস্তের কথা জানানো হয়। তিনি ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ৩(গ) অনুযায়ী পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় বিধি ১২ উপবিধি (১) অনুসারে তারা যেদিন থেকে অনুপস্থিত, সেই তারিখ থেকেই সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হিসেবে বিবেচিত হবেন। বরখাস্তকালীন তারা খোরপোষ ভাতা পাবেন।
এ ঘটনায় পুলিশের ভেতরে ফের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।