চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আহমেদকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন জামায়াতের সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ফটিকছড়ি পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন রুবেল।
রোববার (২৯ জুন) দুপুরে ফেডারেশন নেতা রুবেল থানায় এসে বলেন, ‘জামায়াত নেতাদের কোনো অবস্থাতেই ধরা যাবে না—ইভেন যদি ওয়ারেন্ট থাকে, তাও না। ধরলে দেখে নেওয়া হবে।’
ঘটনার পর চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম সানতু বিকেলে থানায় যান এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
ওসি নূর আহমেদ বলেন, ‘ওয়ারেন্ট থাকায় আমরা জামায়াতপন্থী সংগঠনের সভাপতি মো. ইব্রাহিম খলিলকে অর্থঋণ মামলায় আটক করি। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই গিয়াস উদ্দিন রুবেল ১০-১২ জন সঙ্গী নিয়ে থানায় এসে উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘ধরলে দেখে নেব।’ আমি বলেছি, রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করছি। ওয়ারেন্ট থাকলে তাকে আটক করেছি, আপনাকেও করব।’
পুলিশ সূত্র জানায়, রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ফটিকছড়ির বিবিরহাট এলাকা থেকে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ইব্রাহিম খলিলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপরই ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রুবেল সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে থানায় এসে ওসির সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়ান।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী থানার এক এসআই বলেন, ‘রুবেল নিজেকে জামায়াত নেতা পরিচয়ে ওসিকে খোঁজেন এবং তাকে শাসিয়ে বলেন জামায়াত নেতাদের ধরা যাবে না। পুরো সময়জুড়ে তিনি হুমকির সুরে কথা বলেন। পরিস্থিতি বিব্রতকর ছিল।’
তবে রুবেল ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে ফোনে বলেন, ‘না না, ওসি সাহেবের সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়নি। কিছু ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে মাত্র।’ ফোনটি তিনি পরে কেটে দেন।
ফেডারেশনের উপজেলা সভাপতি গাজি মো. বেলাল বলেন, ‘ওসি কেন আমাদের নেতা ইব্রাহিমকে ধরলেন, তা জানতে চেয়েছি। কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।’
এসপি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিস্তারিত জেনেছি। আইনি প্রক্রিয়ায় পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’