চট্টগ্রাম বন বিভাগের ৭৭ কর্মচারীকে পছন্দের জায়গায় বদলি ও ১০ কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে বন সংরক্ষক কর্মকর্তা ড. মোল্যা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে। তার এ অভিযোগের তদন্ত করছে কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এর আগে ফেনীতে বন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনের সময় রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে একটি বাগান সৃজন প্রকল্পের ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। ওই অভিযোগেরও তদন্ত করছে দুদক।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার নন্দনকানন বন সংরক্ষকের (সিএফ)কার্যালয়ে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিাচলনা করে। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক সাঈদ মোহাম্মদ এমরানে নেতৃত্বে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী দুদকের চার সদস্য এ অভিযানে অংশ নেন।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর বন সংরক্ষকের কার্যালয় চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক হিসেবে যোগদান করেন ড. মোল্যা রেজাউল করিম। বন সংরক্ষকের কার্যালয় চট্টগ্রাম অঞ্চলের আওতায় মোট ১০টি বিভাগ রয়েছে। এসব বিভাগের বদলি করা হয় ওই ৭৭ জনকে। দুদকের কাছে অভিযোগ ছিল প্রতিটি বদলিতে বড় অংকের অর্থ লেনদেন হয়েছে। একদিনে মোট ৭৭ জন কর্মচারী বদলি করা হয়। এই বদলিতে অন্তত ১০ কোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ পেয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়–১ এর সহকারী পরিচালক সাঈদ মাহমুদ ইমরান সাংবাদিকদের বলেন, অভিযানে এ পর্যন্ত যাদেরকে বদলি করা হয়েছে তাদের ফোন নম্বর, বদলির আদেশ, নিয়ম-মাফিক বদলি হয়েছে কিনা, এ সর্ম্পকের রেকর্ডপত্র অফিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
এছাড়া বাগান সৃজন প্রকল্পের ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা আত্মসাতের একটি দুদকের অভিযোগ ছিল সে সম্পর্কের কিছু তথ্যও আমাদের কাছে এসেছে। দুটি অভিযোগের বিষয়ে যাচাই-বাচাই শেষে কমিশন বরাবরে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বন সংরক্ষক ড. মোল্যা রেজাউল করিম জানান, আমার বিরুদ্ধে দুদকের আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি ৫ আগেস্টর পর এখানে যোগদান করেছি। জড়িতদের তথ্য দুদককে জানিয়েছি। দুদক যাচাই-বাচাই করে অভিযোগের সত্যতা বের করবে বলে আশা করছি।’
আইএমই/ডিজে