রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামে প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরে (সিসিএস) নির্ধারিত সময়ের পর জোর করে জমা দেওয়া ছয় বিদেশি কোম্পানির দরপত্র বাতিল হতে যাচ্ছে।
এর আগে এ ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা থাকলে তা সপ্তাহ পার হয়ে যায়। পরে মঙ্গলবার এ দরপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর)-২০২৫ এর ১১৭(৬) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সময় শেষ হওয়ার পর দরপত্র গ্রহণের নিয়ম নেই।
রেলে সাপ্লাইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচিত পরিচালক এনায়েত কবীর জানান, ছয় ঠিকাদার লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় বিলম্ব হয়েছে।
রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (পূর্ব) বেলাল হোসেন সরকার এ প্রসঙ্গে বলেন, আইনের বাইরে গিয়ে ছয় দরপত্র গ্রহণ করার অনুমতি দেওয়া সম্ভব না। আগামীকাল (মঙ্গলবার) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামে প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরে (সিসিএস) নির্ধারিত সময়ের পরে জোর করে বিদেশি কোম্পানির ৬টি দরপত্র জমা দেয় কিছু ব্যক্তি। এসব দরপত্র জমা নিতে না চাইলে রেল কর্মচারীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন তারা।
ছয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—ইএলজিআই ইকুইপমেন্ট (ইন্ডিয়া), লোকোমোটিভ ইলেকট্রনিক্স (ইন্ডিয়া), সামায়ন কোম্পানি (কোরিয়া), সীমোর ইন্ডাস্ট্রিজ (কানাডা), এএসএ ইঞ্জিন ইকুইপমেন্ট (ইন্ডিয়া) ও ইপিম্যাচ।
রেলে ডিজেল স্পেয়ার্স পার্টস ও ইলেক্ট্রিক লোকোমোটিভের বিদেশি মালামাল সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্তকরণ কাজের দরপত্র জমাদান কাজ শেষ হয়। কিন্তু সময় শেষ হওয়ার পর ৬টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জোর করে দরপত্র জমা দেয়।
এসব দরপত্র অফিস কর্তৃপক্ষ আমলে না নিলে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয় তাদের। করা হয় অশোভন আচরণও।
জেএস/ডিজে


