প্রবাসীদের টার্গেট করে ছিনিয়ে নেয় পাসপোর্ট, চক্রের ১১ সদস্য আটক চট্টগ্রামে
বিভিন্ন উপজেলায় করে সিএনজি চুরিও
চট্টগ্রামে প্রবাসীরা দেশে ফিরলে বিমানবন্দর থেকে তাদের নজরে রাখা হয়। এজন্য চারজন লোক সব সময় থাকেন বিমানবন্দরের ভেতরে। এরপর প্রবাসীদের পিছু নেয় তারা। পরে সুবিধাজনক স্থানে গাড়ি থামিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া হয় প্রবাসীর পাসপোর্টসহ মূল্যবান জিনিস। এরপর মোটা টাকার বিনিময়ে ফেরত দেওয়া হয় পাসপোর্ট। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসীদের টার্গেট করে টাকা আদায় করে আসছিল একটি চক্র। অবশেষে এই চক্রের ১১ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব।
রোববার (১৬ এপ্রিল) সকালে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের এসব তথ্য জানান র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রাইভেট কারে চড়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে শাহ আমানত বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের ১১ সদস্যকে আটক করে র্যাব।
আটকরা হলেন শফিকুল ইসলামের ছেলে মো. ইমরান হাসান (২৭), মেহের আলীর ছেলে মো. রুবেল (৩১), মো. ফয়েজের ছেলে মো. শফি ওরফে মো. মিজানুর রহমান (২৯), ইসমল আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম সোহাগ (২৮), আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. মোয়াজ্জেম হোসেন (৩৪), দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত মিনার (২৫), মো. মিন্টুর ছেলে মো. জমির (৪৫), মো. রাশেদের ছেলে মো. সৈকত (২২), মো. সিরাজের ছেলে হাবিবুল কিবরিয়া ওরফে আরমান (২২), বিনয় দে’র ছেলে কিল্টন দে (২৯) ও আব্দুল মোমেনের ছেলে মো. কায়সার হামিদ (৩৪)।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই, ডাকাতি, সিএনজি চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিলো এই চক্রটি। এই চক্রের মধ্যে ৩ থেকে ৪ জন বিমানবন্দরের ভেতর অবস্থান করে প্রবাসীদের টার্গেট করে। প্রবাসীরা যখন বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে তখন তাদের তথ্যমতে চক্রের বাকি সদস্যরা পথে প্রবাসীদের গাড়ি থামিয়ে দেশী অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই করে নেয়। প্রবাসীদের পাসপোর্ট ছিনিয়ে নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অংকের অর্থ আদায় করে।
এছাড়াও চট্টগ্রামের পটিয়া, বোয়ালখালী ও বাঁশখালী রুটে চলাচলকারী সিএনজি চালকদের টার্গেট করতো চক্রটি। যাত্রী সেজে সিএনজিতে উঠে মাঝপথে নির্জন স্থানে চক্রের বাকি সদস্যরা একত্রিত হয়ে সিএনজি ড্রাইভারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আহত করে সিএনজি ছিনতাই করতো।
এই বিষয়ে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার বলেন, ‘এই চক্রটি ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের জঙ্গল সলিমপুরসহ বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাসের সাধারণ যাত্রী এবং ড্রাইভারদের দেশীয় ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করতো। এরপর ভয়-ভীতি দেখিয়ে যাত্রীদের মূল্যবান জিনিসপত্র, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ছিনতাই করতো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়েছে। আটক আসামিদের থানায় হস্তান্তরের করা হবে।’
আরএ/ডিজে