সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চট্টগ্রােমর পটিয়ার ভাটিখাইন ইউনিয়নের মোহাম্মদ আরফান। মাথায় মারাত্মক আঘাত পেয়ে তিনি এখন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার মস্তিষ্কে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়েছে, অবস্থা এখনো অত্যন্ত সংকটজনক।
আরফান (৩২) উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জামাল মাস্টারের বাড়ির মো. আবছার উদ্দিনের বড় ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনিই বড়। মাত্র এক বছর আগে সংসারী হওয়া এই যুবকের এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা পরিবার ও এলাকাজুড়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
জানা গেছে, বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে মাকে সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রামের নানার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন আরফান। তাদের বহনকারী মোটরসাইকেলটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কাজীপাড়া রুকু গার্ডেন কমিউনিটি সেন্টারের সামনে পৌঁছালে দ্রুতগতির এস আলম পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা এতটাই প্রচণ্ড ছিল যে, আরফান মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে রাস্তার ওপর পড়ে মাথায় ভয়াবহ আঘাত পান। তার মাও আহত হন।
দুর্ঘটনার সময় স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে মা-ছেলেকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা সেদিনই তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠিয়ে দেন।
মেডিকেলের আইসিইউর দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন চিকিৎসক জানান, রোগীর মাথায় গুরুতর আঘাতজনিত কারণে মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। এখনও তার জ্ঞান ফেরেনি। অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
আহত আরফানের ছোট চাচা মো. নাছির বলেন, ভাতিজার এখনও জ্ঞান ফেরেনি। ডাক্তাররা বলছেন, অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা চাইলে ওকে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার কথা ভাবছি।
পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, এক বছর আগে বিয়ে করা আরফান কর্মঠ ও হাসিখুশি স্বভাবের ছেলে। হঠাৎ এমন দুর্ঘটনায় সবাই দিশেহারা।
পটিয়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. জসিম বলেন, এ ধরনের কোনো দুর্ঘটনার খবর আমরা পাইনি। তবে আহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে এবং বাসের নম্বর দিলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিজে


