চট্টগ্রাম রেলে ৬ বিদেশি কোম্পানির দরপত্র নিয়ে ‘নাটক’, নিয়ম ভেঙে জমা

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামে প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরে (সিসিএস) নির্ধারিত সময়ের পরে জোর করে বিদেশি কোম্পানির ৬টি দরপত্র জমা দিয়েছে কিছু ব্যক্তি। এসব দরপত্র জমা নিতে না চাইলে রেল কর্মচারীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন তারা।

তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। নিয়ম ভেঙে এসব দরপত্র জমা নেওয়ার সুযোগ নেই।

রোববার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ১২টার পর সিসিএস দপ্তরে এ ঘটনা ঘটে।

ছয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—ইএলজিআই ইকুইপমেন্ট (ইন্ডিয়া), লোকোমোটিভ ইলেকট্রনিক্স (ইন্ডিয়া), সামায়ন কোম্পানি (কোরিয়া), সীমোর ইন্ডাস্ট্রিজ (কানাডা), এএসএ ইঞ্জিন ইকুইপমেন্ট (ইন্ডিয়া) ও ইপিম্যাচ।

জানা গেছে, রেলে ডিজেল স্পেয়ার্স পার্টস ও ইলেক্ট্রিক লোকোমোটিভের বিদেশি মালামাল সরবরাহকারী  ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্তকরণ কাজের দরপত্র জমাদান কাজ শেষ হয়। কিন্তু সময় শেষ হওয়ার পর ৬টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জোর করে দরপত্র জমা দেয়।

এসব দরপত্র অফিস কর্তৃপক্ষ আমলে না নিলে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয় তাদের। করা হয় অশোভন আচরণও।

দপ্তরের কর্মচারীরা জানান, কিছু ব্যক্তি এসে ‘দরপত্র না নিলে ডিজি নিবে, ডিজি না নিলে সচিব নিবে’ মর্মে হুঁশিয়ারি দেয়। এরপর জোর করে দরপত্রগুলো দপ্তরে দিয়ে চলে যান। তবে নিয়ম ভেঙে এসব দরপত্র জমা নেওয়ার সুযোগ নেই।

অশালীন আচরণ করা এসব ব্যক্তি স্থানীয় এক ঠিকাদারের লোক৷ ওই ঠিকাদার জামায়াতপন্থী বলে জানান রেল কর্মচারীরা।

দপ্তরে দরপত্র বিক্রয়কারী আয়েশ আক্তার জানান, মোট ৯২টি দরপত্র বিক্রি হয়। যার মধ্যে ৫৪টি জমা পড়ে। কিন্তু  সময় অতিক্রম হওয়ার পর ৬ দরপত্র  জোর করে জমা দিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ এবিষয় কোনো সিদ্ধান্ত দেননি।

জানা গেছে, বিদেশি মালামাল সরবরাহের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্ত ও সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য রেল কর্তৃপক্ষ দরপত্র আহ্বান করে। ৭ বার সময় পেছানো পর ৩০ নভেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। রেলওয়ে দরপত্র বিক্রি করে ১লাখ ৯২ হাজার টাকা আয় করে। প্রতিটি দরপত্রের মূল্য ছিল ২ হাজার টাকা।

এ বিষয়ে জানতে প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (পূর্ব) বেলাল হোসেন সরকারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।

জেএস/ডিজে

ksrm