দিনের অপেক্ষা না করে ভোটের রাতেই রক্ত ঝরলো চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নে। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ওই ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ শুরু হবে।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে খাগরিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় একটি প্রাইভেট কার ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা আটকে ভেতরে থাকা যাত্রীদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিনের সমর্থকরা জড়িত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, বেধড়ক মারধরে এ সময় অন্তত চারজন গুরুতর আহত হন। এদের মধ্যে অন্তত তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
এ ঘটনায় প্রাইভেট কারে থাকা দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পার্থ সারথী চৌধুরীকেও মারধর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় প্রাইভেট কারটিও ভাঙচুর করা হয়।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, পার্থ সারথী চৌধুরীকে মারধরের মাঝপর্যায়ে তাকে উদ্ধার করা হলেও অন্যদের নির্মমভাবে মারধর করা হয়। কয়েকজনকে রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানবিকভাবে পেটানো হয়েছে।
জসিম উদ্দিনের সমর্থকরা দাবি করেছেন, পার্থ সারথী চৌধুরীসহ তার কয়েকজন সহযোগীকে স্থানীয়রা ‘আটক’ করেছে। এ সময় তাদের মারধর শুরু করলে খাগরিয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিন ও তার অনুসারীরা গিয়ে উদ্ধার করে তাকে জসিমের বাড়িতে নিয়ে আসে।
তারা দাবি করছেন, আটকের সময় পার্থ সারথীর হাতেই ‘আগ্নেয়াস্ত্র’ ছিল।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘স্থানীয়রা বহিরাগত সন্ত্রাসী মনে করে চারজনকে মারধর করেছে। তাদের আমি উদ্ধার করতে যাই। গিয়ে দেখি সেখানে পার্থ সারথী চৌধুরী রয়েছে। আমি তাকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে আসি। এরপর বিষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সাহেবকে অবহিত করি। উনি আমার বাড়িতে এসেছেন।’
এদিকে পার্থ সারথী চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানায়, গাড়িতে কোনো অস্ত্রই ছিল না। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিমের লোকজনই তাদের হাতে কথিত অস্ত্র ধরিয়ে দিতে পারে। এজন্য তারা নৌকার বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিনকে দায়ী করেছেন।
জানা গেছে, পরে সাতকানিয়া থানার পুলিশ এসে স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিমের বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা পার্থ সারথী চৌধুরীকে তাদের হেফাজতে নিয়ে গেছে।
সিপি