লাল শাপলায় সেজেছে ‘মাছকারিয়া বিল’

শীতের স্নিগ্ধতায় ভোরের লাল সূর্য, অতিথি পাখির বিচরণ, লাল শাপলা—যেন প্রকৃতির ঢেলে দেওয়া এক সৌন্দর্যের ক্যানভাস। প্রকৃতির এই নিখাদ সৌন্দর্যটি উখিয়ার মাছকারিয়া বিলের। এখানে সবুজ পাতায় ঢাকা জলে, ফুটে আছে শাপলা ফুল। চকচকে পানির ওপর ভাসতে থাকা লাল শাপলায় পুরো এলাকাই এখন অপরূপ।

লাল শাপলায় সেজেছে ‘মাছকারিয়া বিল’ 1

সরেজমিন দেখা গেছে, মাছকরিয়া বিলে সূর্যোদয়ের আগে থেকে ফুটতে শুরু করা শাপলা থাকে বেলা ১১টা পর্যন্ত। বেলা বাড়তেই ঝিমিয়ে পড়ে ফুটন্ত শাপলা। এখানকার শাপলা ফুল দেখতে অনেকেই ছুটে এসেছেন শাপলা দেখতে। নৌকায় চড়ে জলে ভাসা শাপলার সঙ্গে নিজেদের ছবি তুলেছেন। কিন্তু অনেকে আবার শাপলা ফুলগুলো ছিঁড়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

জানা গেছে, এক সময় এই বিলে পাওয়া যেতো প্রচুর মাছ। এসব মাছ মাছরাঙাসহ বিভিন্ন পাখি খেতো, এরপর এটির নাম হয় মাছকারিয়ার খাল বা বিল। গত বছর থেকে মাছকরিয়া বিল ‘শাপলা বিল’ হিসেবে পরিচিত পায়।

শাপলা ফুলের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আসা রিতু বড়ুয়া বলেন, ‘উখিয়ার মাছকারিয়া বিল অসাধারণ। না দেখলে বিশ্বাস হয় না। কাছের জলরাশিতে ফুলের সমাহার। সবুজ পাতার ভাঁজে ভাঁজে লাল পাঁপড়ির স্নিগ্ধতা। ঐশ্বরিক এই সুনিপুণ চিত্রকর্ম চোখ জুড়ানো, মন ভোলানো।’

স্থানীয়রা জানান, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে মাছকারিয়া বিল হবে কক্সবাজারে পর্যটনের নতুন সংযোজন। দর্শনার্থীর ভিড়ে যেনো এই প্রাকৃতিক বিলটির পরিবেশগত ক্ষতি না হয়, তাই রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হাসান জানান, মাছকারিয়া বিলে শাপলা ফুলগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে বড় পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে ঐতিহ্যবাহী মাছকারিয়া বিলটি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্যের কারণে অবহেলিত মাছকারিয়া বিলের সৌন্দর্য ঘিরে নৌকা ভাড়া দিয়ে ৫০টি পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে।

স্থানীয় তরুণ ইয়াছিন জানান, পানিতে ভাসমান শাপলাপাতার মধ্যদিয়ে ছোট ডিঙি নৌকা চলছে। স্থানীয় মানুষের মৌসুমী কর্মসংস্থান চাঙা হয়ে উঠেছে। চারদিকের শাপলাফুল যেন দর্শনার্থীকে স্বাগত জানাচ্ছে। তবে খারাপ লাগে, যখন দর্শনার্থীরা বেশি বেশি করে শাপলা ফুল তুলে নষ্ট করে। তাই আমাদের অনুরোধ, ফুল নষ্ট না করার।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm