চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক ডিভাইডারে উঠে যাওয়া বিএসআরএমের স্ক্র্যাপবাহী একটি লরি ১১ ঘণ্টা পর সরানো হয়েছে। রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা স্ক্র্যাপের টুকরোগুলোও পরিষ্কার করেছে পুলিশ।
রোববার (২০ এপ্রিল) ভোর ৪ টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পৌরসভার শেখনগর এলাকায় ইউটার্নের অংশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এর আগে ভোর থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত তীব্র যানজট ছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। লরি দুর্ঘটনার কারণে একপাশে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঢাকামুখি গাড়িগুলো উল্টো পথে চলাচল করছিল।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা ক্ষোভ ঝেরে বলেন, দুর্ঘটনার পরে দীর্ঘক্ষণ মহাসড়কে এভাবে একটি গাড়ি পড়ে থাকা খুবই দুঃখজনক। বিএসআরএম দেশের একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। তাদের খামখেয়ালির কারণে মানুষ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এমন কাণ্ড জ্ঞানীহীন কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ বিব্রত। শুধু তাই নয়, স্ক্র্যাপগুলোর বিভিন্ন লোহা মহাসড়কে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। এ সময় গাড়ি চলাচল ঠিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্যকে বেলচা দিয়ে স্ক্র্যাপ সরাতে দেখা যায়। বিকাল ৩টার দিকে এ লরিটি সরানো হয়।
দেলোয়ার হোসেন সাঈদ নামের একজন প্রাইভেট কার চালক বলেন, স্ক্র্যাপের বিভিন্ন লোহার টুকরো মহাসড়কের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। যার কারণে মহাসড়কে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।
কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে দীর্ঘক্ষণ বিএসআরএম কর্তৃপক্ষের কেউ না আসায় হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা গাড়ি চলাচলের জন্য স্ক্র্যাপ সরানোর চেষ্টা করেন। স্ক্র্যাপবাহী লরিটি মহাসড়কে পড়ে থাকার কারণে ঢাকামুখি লেনের গাড়িগুলো উল্টোপথে চট্টগ্রামমুখি লেনে চলাচল করে। বিকাল ৩টার দিকে গাড়িটি সরানো হয়।
ডিজে