আনোয়ারায় ইসলামী ফ্রন্টের সমাবেশ: ক্ষমতার ভাগাভাগির রাজনীতি জনগণ গ্রহণ করবে না

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার কালাবিবির দীঘি মোড়ে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা বলেন, জুলাই বিপ্লবের স্বপ্ন থেকে সরকার দূরে সরে গেছে এবং কয়েকটি দল মিলিত হয়ে ক্ষমতার ভাগাভাগির রাজনীতিতে জড়িত। ক্ষমতার এই বণ্টনমূলক নীতি জনগণ কখনও মেনে নেবে না। বক্তারা ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সুন্নিয়তের শাসনের গুরুত্বে জোর দেন এবং কুরআন-সুন্নাহর শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রকৃত শান্তি ও অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করেন।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ মতিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আহলে সুন্নতের কো-চেয়ারম্যান ড. এম এ অদুদ, ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট আবু নাছের তালুকদার, মাস্টার আবুল হোসেন, জসিম উদ্দিন, ফেরদৌসুল আলম খান আল কাদেরী, মনির আহমদ আনোয়ারী, মোরশেদুল আলম মুন্সী, মাস্টার মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম, মুহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, মোহাম্মদ ওসমান এবং মাওলানা মফিজ উল্লাহ।

সুন্নিপন্থি তিনটি রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী জোট গঠনের পর এটি ছিল প্রথম সমাবেশ। এই উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কয়েকদিন ধরে জোরালো প্রচারণা চলছিল। আনোয়ারা-কর্ণফুলীর বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারও নেতাকর্মী এতে অংশ নেন। সমাবেশটি আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শনের একটি মঞ্চে পরিণত হয়।

মাওলানা এম এ মতিন বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে দ্রুত ক্ষমতা জনরায়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে হস্তান্তর করতে হবে। সাধারণ মানুষ দারিদ্র্য ও জীবনের ব্যয় বৃদ্ধিতে ভুগছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। সুন্নিপন্থি প্রার্থীদের বিজয়ই সুশাসনের একমাত্র পথ। সুন্নিয়তের রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ প্রার্থী দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

ড. এম এ অদুদ বলেন, ‘সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত করে এগিয়ে যেতে হবে। মাওলানা এস এম শাহজাহান আনোয়ারা-কর্ণফুলীর জনগণের প্রিয় নেতা। সুদৃঢ় ঐক্যের মাধ্যমে বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।’

এডভোকেট আবু নাছের তালুকদার বলেন, ‘আনোয়ারা-কর্ণফুলী সুন্নিয়তের উর্বর ভূমি। এখানে যোগ্য নেতা রয়েছেন। কুরআন-সুন্নাহর প্রতিনিধিকে সংসদে পাঠানোর লক্ষ্যে এক হয়ে কাজ করতে হবে।’

মাওলানা এসএম শাহজাহান বলেন, ‘নির্বাচনে যে প্রার্থীই হোক, ঐক্যের বিকল্প নেই। মানুষ সুশাসন চাই। জাতীয় নির্বাচন সময়মতো অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত।’

ksrm