চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিস্ফোরক এবং হত্যাচেষ্টার দুই মামলায় কারাবন্দি আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেমের জামিন শুনানি উভয় পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুটি মামলাতেই তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হেমায়েত উদ্দিন জামিনের এ আদেশ দেন।
আবুল কাশেম চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষক, পটিয়া উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি এবং কাশিয়াইশ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। কাশিয়াইশ এলাকায় তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক জীবনে তিনি দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরেই আলোচনায় ছিলেন।
এর আগে ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিনের আদালতে মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আসামিপক্ষ সময়ের আবেদন করলে আদালত মঙ্গলবার শুনানির নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মিস মামলা হিসেবে মামলাটি ১৭ নভেম্বর দাখিল হলেও বেঞ্চ সহকারী মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় শুনানির দিন ঠিক করেন। যা একই ধরনের মামলায় অন্য আসামিদের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি। অন্যান্য আওয়ামী লীগপন্থী আসামিদের ক্ষেত্রে গ্রেপ্তারের এক মাস পর শুনানির তারিখ নির্ধারণ হলেও কাশেমের ক্ষেত্রে দিন ধার্য হয়েছে দ্রুত।
বাদিপক্ষের আইনজীবী ফোরকানুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও কিভাবে এভাবে দ্রুত জামিন শুনানি হয়, তা প্রশ্নবিদ্ধ। যারা জুলাই আন্দোলনে নিহত বা আহত হয়েছেন তাদের পরিবার ক্ষুব্ধ। আইন সবার জন্য সমান হওয়া উচিত।
জানা গেছে, এ ঘটনা নতুন নয়। কাশিয়াইশ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের আপন ছোট ভাই আবুল হাশেমের মামলাতেও একই ঘটনা দেখা গিয়েছিল। মামলা দায়েরের পরদিনই শুনানির তারিখ ধার্য হয় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি জামিন লাভ করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্টদের দোসর এবং তাদের লালিত গডফাদাররা চট্টগ্রাম আদালতের সরকারি কুশলীরা অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের জামিন নিয়ে দিচ্ছে। এতে দল এবং রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ডিজে


