বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছিলো গত বছরের ৮ মার্চ আর প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিলো এর ১০ দিন পর, ১৮ মার্চ। গত এক বছরে অর্থাৎ ১৭ মার্চ পর্যন্ত দেশে করোনায় প্রাণ হারিয়েছে মোট ৮ হাজার ৬০৮ জন। এ পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন মোট ৫ লাখ ৬২ হাজার ৭৫২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ১৫ হাজার ৯৮৯ জন।
মহামারী করোনাভাইরাসে বিশ্ব প্রথম মৃত্যু দেখেছিল গত বছরের ১১ জানুয়ারি। সংক্রমিত হওয়ার পর চীনে ওই দিন ৬১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মারা যান বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কথা ঘোষণা করে।
বাংলাদেশে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৪ জানুয়ারি থেকেই দেশের বিমানবন্দরসহ সব স্থল ও নৌবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করে। ১ মার্চ সব সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে শয্যা সংখ্যার আনুপাতিক হারে আইসোলেশন ইউনিট খোলার নির্দেশ দেয়া হয় এবং ৪ মার্চ সমন্বিত করোনা কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়। এর সাতদিন পর ৮ মার্চ দেশের প্রথম করোনা সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্তের পর তা দ্রুত নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুরের শিবচর ও ঢাকার মিরপুরে ছড়িয়ে পড়ে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, শুরুতে আইইডিসিআর ছাড়া দেশে করোনা পরীক্ষার জন্য আর কোথাও আরটি পিসিআর ল্যাবরেটরি ছিলো না। তা দিয়ে গত বছর ১৮ মার্চ মাত্র ১০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিলো আর তাতে পজিটিভ হয়েছিলেন ৪ জন। পরদিন ১৯ মার্চ স্বাস্থ্য বিভাগ নিয়মিত ব্রিফিং-এ প্রথম কোন ব্যক্তির মৃত্যুর কথা জানায় অর্থাৎ করোনায় সংক্রমিত হয়ে ১৮ মার্চ ওই ব্যক্তি মারা গিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, ১৮ মার্চ পর্যন্ত সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫ হাজার ৪৯৭ জনে। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৬ লাখ ৯১ হাজার ৮৩২ জন। আর এ মহামারি থেকে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৮১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৪৪ জন সুস্থ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সকাল সাড়ে আটটায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এমএহক