কর্ণফুলীতে ময়লার ভাগাড়ের দুর্গন্ধে অতিষ্ট মানুষ, ফেলা হচ্ছে ক্লিনিক্যাল বর্জ্যও

দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে নগরে প্রবেশের মুখ কর্ণফুলীর মইজ্জ্যারটেক। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ মোড়েই পিএবি সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে আধ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ময়লার ভাগাড় (ডাস্টবিন)। ফলে এলাকাজুড়ে যেমন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে তেমনি চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। প্লাস্টিক, খাবারের উচ্ছিষ্ট, ক্লিনিক্যাল বর্জ্যসহ সব ধরনের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় এই ভাগাড়ে। অথচ এর পাশ দিয়েই প্রতিদিন দক্ষিণ চট্টগ্রামের হাজারো যাত্রী ও গাড়ি চলাচল করে।

স্থানীয়রা বলছেন, এ যেন এক ধরনের ‘পরিবেশ সন্ত্রাস’। কেউ পরিকল্পিতভাবে না করলেও, বছরের পর বছর এই অবস্থার মধ্যে বাস করে এমনটাই মনে হচ্ছে।

এদিকে ময়লার ভাগাড় নিয়ে কোনো মাথা ব্যথা নেই প্রশাসনের। শিকলবাহা ইউনিয়নের সচিব বলছেন, জায়গাটি তাদের আওতায় নয়। চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন বলছে, তাদের ময়লা পরিবহনের কোনো গাড়িই নেই। আর উপজেলা প্রশাসন জানেই না সেখানে কী হচ্ছে।

স্থানীয় গৃহিণী শাহনাজ আক্তার বলেন, এই জায়গায় প্রতিদিন ময়লা ফেলা হয়। সবাই দেখেও দেখে না।

দেলোয়ার হোসেন নামে এক পথচারী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, প্রতিদিন সকালে দুর্গন্ধ দিয়ে শুরু হয় আমাদের দিন। স্বাস্থ্য তো দূরের কথা, সৌন্দর্যবোধও যেন কেউ মানে না।

বাসচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, রাস্তা পার হওয়াও কঠিন হয়ে গেছে দুর্গন্ধে। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হবে।

সরকার একদিকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কথা বলছে, অন্যদিকে দেশের প্রবেশপথে এমন এক ‘আনস্মার্ট’ বর্জ্য-চিত্র তুলে ধরছে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার দুর্বলতা। এই সড়ক দিয়েই বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও যাতায়াত করেন, চলাচল করেন পর্যটক বা পণ্যবাহী ট্রাক—যারা প্রত্যেকে এই দুর্গন্ধকেই প্রথম অভ্যর্থনা হিসেবে পান।

এলাকাবাসী জানান, দ্রুত স্থান নির্ধারণ করে নির্দিষ্ট জায়গায় বর্জ্য ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে ইউনিয়ন বা পৌরসভা নয়, উপজেলা প্রশাসনের সরাসরি হস্তক্ষেপ দরকার। সড়কপথের পাশে এমন ভাগাড় একদিকে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।

জেজে/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm