কোতোয়ালীতে আটক ছিনতাইকারী গ্রুপের ৮ সদস্য

১২ থেকে ১৫ সদস্যের গ্রুপ। সন্ধ্যা নামতেই ৩-৪ জনে উপ গ্রুপে ভাগ হয়ে ছড়িয়ে পড়েন চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায়। এরপর সুযোগ বুঝে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পথচারীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় টাকা-স্বর্ণসহ মূল্যবান জিনিস।

এই ছিনতাইকারী গ্রুপের আট সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এই সময় গ্রুপের আরও কয়েকজন সদস্য পালিয়ে যায়।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতোয়ালীর পলোগ্রাউন্ড মাঠ থেকে টিপ ছুরিসহ তাদের আটক করা হয়। গ্রুপের বাকি সদস্যদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

s alam president – mobile

গ্রেপ্তার আট ছিনতাইকারী হলেন আব্দুল কুদ্দুস রুবেল (২৮), মো. আব্দুল রাজ্জাক (২৮), মো. সাদ্দাম হোসেন (৩০), নুর নেওয়াজ (১৯), মো. শুক্কুর (২২), মো. রায়হান ওরফে লালু (২০), মো. আলাউদ্দিন (২৭) ও মো. অপু (২১)।

এই বিষয়ে কোতোয়ালী থানা পুলিশ জানায়, ১২-১৫ জনের এই ডাকাত দলটি নগরীর বিভিন্ন ব্যস্ত মোড়ে ছিনতাইয়ের কাজ করে। কখনো মোবাইল আবার কখনো নগদ টাকা বা স্বর্ণালংকার। এরা এই মাসে একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির জানান, এই ডাকাত দলটি এর আগেও একাধিকবার ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, এবারো ডাকাতির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে পলোগ্রাউন্ড মাঠে অবস্থান করছে গ্রুপটি। আমাদের একটি ফোর্স সেখানে অভিযান চালিয়ে আটজনকে আটক করে। যারা পালিয়েছে তাদের ধরতে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি।

Yakub Group

ওসি আরও জানান, বাসে মোবাইল ব্যবহারকারীদের টার্গেট করে জানালা দিয়ে সেকেন্ডেই মোবাইল নিয়ে মানুষের ভিড়ে মিশে যায় গ্রুপের সদস্যরা। ১টি গ্রুপ টিপ ছুরির ভয় দেখিয়ে সুযোগ বুঝে মোটরসাইকেল যাত্রী, সিএনজি যাত্রীদের পথরোধ করে এবং পথচারীদের নগদ টাকা, মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নেয়।

আটকদের বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!