চট্টগ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ধরা খেয়েছে জিলাপির জন্য জনপ্রিয় ‘ক্যান্ডি’ ও কাবাব বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ‘সাকুরা কাবাব’। জিলাপির শিরায় মশা-মাছি পাওয়ায় ক্যান্ডিকে ১০ হাজার ও ফ্রিজে বাসি খাবার থাকায় সাকুরা কাবাবকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর আন্দরকিল্লা ও কাজীর দেউরি এলাকায় পৃথক অভিযানে এসব জরিমানা করা হয়।
এছাড়া অভিযানে জামালখানের রহমানিয়া কুলিং কর্নারকে ২৫ হাজার, দারুল কাবাবকে ১০ হাজার টাকা এবং বার্গার তৈরির মেয়াদোত্তীর্ন বন পাওয়ায় পেশারিয়ান্স কাবাব নেহারিকে ২০ হাজার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, আন্দরকিল্লা মোড়ের ক্যান্ডি রেস্টুরেন্ট জিলাপির জন্য বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু তাদের জিলাপির শিরায় ভাসছিল মশা ও মাছি। এছাড়া জামালখানের রহমানিয়া কুলিং কর্নারে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি হচ্ছিল। আবার খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক। যে রেফ্রিজারেটরে খাবার রাখা হয়, সেটিও ছিল নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা জানান, রেস্তোরাঁ দুটিতে খুবই নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি হচ্ছিল। মশা-মাছি, তেলাপোকা তো আছেই, যে রেফ্রিজারেটরে খাবার সংরক্ষণ করা হচ্ছিল তা দীর্ঘদিন পরিষ্কার করা হয়নি। আবার নিষিদ্ধ রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছিল। এজন্য জরিমানা করা হয়।
এছাড়া কাজীর দেউড়ি স্টেডিয়াম মার্কেটের সাকুরা ও দারুল কাবাব এবং জিইসি মোড়ের পেশারিয়ান্স কাবাব নেহারিসহ ৩ প্রতিষ্ঠানকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) এ অভিযান চালানো হয়। অভিযান পরিচালনা করে অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহমুদা আক্তার, রানা দেব নাথ ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান।
জানা গেছে, বাসি খাবার ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে আসছিল সাকুরা কাবাব। একইসঙ্গে কাঁচা মাছ-মাংসের সঙ্গে ফ্রিজে বোরহানি রাখা ছিল। এসব অপরাধে সাকুরা কাবাবকে ৫০ হাজার টাকা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও বাসি খাবার রাখায় দারুল কাবাবকে ১০ হাজার টাকা এবং বার্গার তৈরির জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ বন সংরক্ষণ করায় পেশারিয়ান্স কাবাব নেহারিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আইএমই/এএইচ/ডিজে


