গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সড়কে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে নগরীর দুই নম্বর গেট মোড়ে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
বিক্ষোভে এনসিপির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে অংশ নেয় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। সমাবেশে সড়কে অবস্থান নেওয়া হলেও যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা হয়নি।
সমাবেশস্থলে ‘মুজিববাদ-মুর্দাবাদ’, ‘সারা বাংলায় খবর দে–মুজিববাদের কবর দে’ সহ বিভিন্ন স্লোগানে মুখর ছিল পুরো এলাকা। বক্তব্যে গোপালগঞ্জের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘গোপালগঞ্জের পরিণতি হবে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের মতো।’
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গোপালগঞ্জে যে হামলা চালিয়েছে, তা ভয়াবহ পরিণতির দিকে যাচ্ছে। প্রশাসন নীরব দর্শক ছিল। তারা ব্যবস্থা না নিলে জবাব হবে ইতিহাসের ভাষায়।’
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আলী বলেন, ‘হামলা শুধু এনসিপির ওপর নয়, এটা জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলা। ইন্টেরিম সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। তাদের নীরবতা আওয়ামী স্বৈরাচারের প্রেতাত্মাদের সাহস দিয়েছে। আমাদের আন্দোলন চলবে।’
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দ, যুগ্ম সদস্য সচিব সাগুপ্তা বুশরা, বাগছাসের যুগ্ম সদস্য সচিব রিজাউর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইবনে হোসাইন জিয়াদ ও মুখ্য সংগঠক তাওসিফ ইমরোজ।
বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নেওয়ার আগে আশপাশে বিক্ষোভ মিছিলও করেন।
এর আগে বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জে এনসিপির কেন্দ্রীয় সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়। হামলার সময় কেন্দ্রীয় নেতারা গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। এনসিপির অভিযোগ, হামলায় আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়িত ছিলেন।
জেজে