নাম বদলে চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে টোল আদায়ের যুগে

লালখানবাজার প্রান্তে নামা যাবে, ওঠা যাবে না

অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে যান চলাচল শুরু হল চট্টগ্রাম নগরীর প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। এর আগে ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত নির্মিত এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে তখন গাড়ি চলাচল শুরু হয়নি। গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এক্সপ্রেসওয়েটির নামকরণ করা হয় শহীদ ওয়াসিমের নামে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত নির্মিত এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাথমিকভাবে পতেঙ্গা প্রান্তে টোল আদায় করা হচ্ছে। এজন্য চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ১০ ধরনের গাড়ি চলাচলের সুযোগ পাচ্ছে। তবে মোটরসাইকেল ও ট্রেইলর চলতে পারবে না। সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে টোল দিতে হবে ৩০ টাকা। কার–জাতীয় গাড়ি ৮০ টাকা, জিপ ও মাইক্রোবাস ১০০ টাকা, পিকআপ ১৫০ টাকা, মিনিবাস ও ট্রাক ( চার চাকা) ২০০ টাকা এবং বাসের জন্য ২৮০ টাকা টোল আদায় করা হবে। ট্রাকের (৬ চাকা) জন্য ৩০০ টাকা এবং কাভার্ড ভ্যানের জন্য ৪৫০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।

এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে এখন শুধু পতেঙ্গা প্রান্তে ওঠানামা করা যাবে। লালখানবাজারে নামার সুযোগ রাখা হলেও সেখান থেকে ওঠার সুযোগ নেই। উঠতে হলে আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারের শুলকবহর ও ২ নম্বর গেটের বেবি সুপারমার্কেট প্রান্ত ব্যবহার করেই এক্সপ্রেসওয়েতে যেতে হবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm