চট্টগ্রামের ডিসি হিলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান প্রস্তুতির মঞ্চে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ৩০ থেকে ৪০ জন ছেলে মেয়ে মিছিল নিয়ে এসে মঞ্চের কাপড়, ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি। ভাঙচুরের পর অনুষ্ঠান বাতিল করেছে আয়োজকরা।
রোববার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিসি হিলের নজরুল স্কয়ারের অনুষ্ঠান মঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ বলছে, আয়োজকদের দুটি পক্ষের মধ্যে যারা অনুষ্ঠানের অনুমতি পায়নি তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ৩০ থেকে ৪০ জন ছেলে-মেয়ে এসে ‘স্বৈরাচারের দোসরেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ স্লোগান দিয়ে মঞ্চের কাপড় ও ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে।
সম্মিলিত পয়লা বৈশাখ উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলী টিটু বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ৩০ থেকে ৪০ ছেলে-মেয়ে এসে ‘স্বৈরাচারের দোসরেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ স্লোগান দিয়ে মঞ্চ ভাঙচুর ও ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশে আসে। এখানে আর অনুষ্ঠান করার মতো পরিবেশ নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল করিম বলেন, দুটি পক্ষের একটি এ ঘটনা ঘটিয়েছে। সেখানে অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য দুটি পক্ষ আবেদন করেছিল। একটি পক্ষ অনুমোদন পাওয়ার পর সেখানে আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় বিরোধী পক্ষ এসে হামলা চালায়। রোববার রাত ৯টায় জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে একটি সভাও ছিল। এ সভার আগেই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাই চলছে।
এর আগে রোববার বিকাল সাড়ে ৪টায় জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে ২০টি সংগঠনের একটি তালিকা দেওয়া হয় আয়োজকদের। ফ্যাসিস্টের দোসর অভিযোগ এনে ওই সংগঠনগুলোকে মঞ্চে তুলতে নিষেধ করে দেয় প্রশাসন। এর আগে সকালে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে ‘সম্মিলিত বাংলা নববর্ষ উদযাপন মঞ্চ’ নামে একটি সংগঠন মানববন্ধন করে।
ফ্যাসিস্ট হাসিনার চিহ্নিত দোসরদের নেতৃত্বে বাংলা নববর্ষ অনুষ্ঠান উদযাপন আয়োজনের প্রতিবাদে’ এই মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয়বাদী সাংস্কৃতিক সংগঠন (জাসাস), বিএনপির সহযোগী সংগঠন মিলে এই কর্মসূচির আয়োজন করে। জেলা প্রশাসক বরাবর দেওয়া স্মারকলিপিতে এই সংগঠনগুলোকে নববর্ষের অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
আইএমই/ডিজে