চট্টগ্রামের শীর্ষ ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন তামান্নাকে ৭ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন চেম্বার আদালত।
রোববার (১৩ এপ্রিল) এ আদেশ দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত।
জানা গেছে, ছোট সাজ্জাদ বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ফেসবুক লাইভে এসে পেটানোর হুমকি দেন। এরপর গত ২৯ জানুয়ারি সাজ্জাদকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেন নগর পুলিশ কমিশনার। এছাড়া তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্রসহ ১৫টি মামলা রয়েছে।
এরপরই ১৫ মার্চ রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং মলে ঘুরাঘুরি করার সময় সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তার স্ত্রী শারমিন তামান্নার ফেসবুক লাইভে এসে ৫৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে তামান্নাকে শারমিন বলতে থাকেন, ‘কাড়ি কাড়ি, বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে (স্বামী) নিয়ে আসবো।’ তার দেওয়া বক্তব্য মুহুর্তে মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। তাছাড়া ওই ভিডিওতে প্রতিপক্ষ গ্রুপকে ‘খেলা শুরু করছো তোমরা, শেষ করবো আমরা’ বলেও হুমকি দেন তিনি ।
এরপর ১৫ দিন পর গত ৩০ মার্চ নগরের বাকলিয়ার এক্সেস রোড এলাকায় একটি প্রাইভেট কারকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। এতে দুই আরোহী নিহত হন। এ ঘটনায় গত ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানায় নিহত বখতিয়ার হোসেন মানিকের মা ফিরোজা বেগম একটি মামলা দায়ের করেন। কারাবন্দি সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী তামান্না শারমিনকে হুকুমের আসামি করা হয়। শারমিন তামান্নাকে ৭ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন চেম্বার আদালত।
আট মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট সাজ্জাদ
ছোট সাজ্জাদকে আরও আট মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া নগরীর বাকলিয়া থাকায় জোড়া খুনের ঘটনায় তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) বেলা ২টার দিকে চট্টগ্রাম দ্বিতীয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইব্রাহীম খলিল রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া পৃথক তিন আদালত তাকে শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্র জানা গেছে, রোববার সকালে কারাবন্দি শীর্ষ ‘সন্ত্রাসী’ ছোট সাজ্জাদকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলার হাটহাজারী থানার দুই মামলায় তার গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম নাজমুন নাহারের আদালত তা মঞ্জুর করেন। এছাড়া পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে নগরীর চান্দগাঁও থানার পাঁচটি মামলায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৪র্থ আদালত এবং বায়েজিদ থানার একটি মামলায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৫ম আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
আরএ/ডিজে