চট্টগ্রামের বন্দর এলাকায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল করেছে। মিছিল-পরবর্তী অভিযানে পুলিশের এক এসআইকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের ১৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (১১ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঈশান মিস্ত্রিঘাট খালপাড় এলাকায় সম্রাট শাকিবের নেতৃত্বে এ মিছিল বের হয় বলে জানা গেছে।
পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে ধারালো অস্ত্রের কোপে বন্দর থানার এসআই আবু সাঈদ রানা মাথা, গলা, হাত ও পেটে গুরুতর জখম হন।
পুলিশ জানিয়েছে, শাকিল নামে এক সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরের বন্দর এলাকার চিহ্নিত অপরাধী হিসেবে সবাই চেনে শাকিল ওরফে চাকু শাকিলকে। শাকিলকে সাবেক এমপি এমএ লতিফের প্রশ্রয়েই এলাকায় ছিনতাই থেকে শুরু করে সব ধরনের অপকর্ম চালাতো। নিজেকে পরিচয় দিতো যুবলীগ নেতা হিসেবে। তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে এলোপাতাড়ি কোপে আহত হন এসআই রানা। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
অভিযানে ১৮ জন গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন—মো. হাসান (২২), জাহিদ হাসান (২০), মনির হোসেন (২৮), শাহেদুল হোসেন (৪৪), মো. দেলোয়ার (২০), মোহাম্মদ দেলোয়ার (২৮), অমিত হাসান শান্ত (২৫), মো. আবদুল আজিম (৫৫), মো. ইকবাল (৩২), মোশাররফ ওরফে সাহেব (৪৯), মো. রাব্বি সরকার (২৩), মো. তাসরিফ (২৫), সালাউদ্দিন বাদশা (৫২), নূর উদ্দিন মাসুম (৪৩), মো. নূর উদ্দিন (৪৭), ইমতিয়াজুর রহমান (১৯), মো. রিমন (১৯), মো. টিপু (২৪)। তারা সবাই ইপিজেড ও বন্দর এলাকার বাসিন্দা।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে—লোহার পাইপ, শাবল, কুঠার, চাপাতি, ধারালো দা, কাঠের বাটাম ও টি-ইস্পাত।
বন্দর থানার ওসি আফতাব উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
জেজে/ডিজে