চট্টগ্রামে রেলের জায়গায় অবৈধ বসতঘর ও দোকান, ঝুঁকিতে গোডাউন

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামে একটি দপ্তরের সীমানাপ্রাচীর দখলে নিয়ে অন্তত ১০টি অবৈধ বসতঘর ও দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। এসব ঘর বহিরাগতদের ভাড়া দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরের মালামাল গোডাউনের নিরাপত্তাও ঝুঁকির মুখে পড়েছে। চার রেল কর্মচারী মিলে অবৈধভাবে এসব ঘর ভাড়া দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ১১টার দিকে সরেজমিন খুলশীর পাহাড়তলী রেলওয়ে লোকো কলোনিতে গেলে প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সীমানাপ্রাচীর ঘেঁষে এসব অবৈধ ঘর ও দোকান দেখা গেছে।

আরও দেখা গেছে, লোকো কলোনির চার রেল কর্মচারী নামে বাসা নম্বর ৪৫ এ ও বি এবং ৪৬ এ ও বি বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু তারা বাসার আশপাশের জায়গাও দখলে নিয়ে সেখানে স্থাপনা ও ১০টি সেমিপাকা বসতঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন। এমনকি সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সীমানাপ্রাচীর দখল করে তার ওপরেই দোকান ও ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

রেল কর্মচারীদের পরিবার এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করার বিষয়টি স্বীকার করলেও পরিচয় দিতে অস্বীকৃতি জানান।

রেলওয়ে সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরে দায়িত্বরত আরএনবি সদস্য ও গোডাউনের দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরা জানান, রেলের দপ্তরের সীমানাপ্রাচীর দখল করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ বিষয়ে ভূসম্পত্তি বিভাগে দাপ্তরিক চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু তারা এখনও কোনোরকম ব্যবস্থা নেয়নি। এছাড়া জনবল সংকট থাকায় বিশাল এলাকা পাহারা দেওয়াও আরএনবির জন্য কষ্টসাধ্য।

প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (পূর্ব) বেলাল উদ্দিন সরকার বলেন, ‘অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে ভূসম্পত্তি দপ্তরকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা ব্যবস্থা নেয়নি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান ভূসম্পদ কর্মকর্তা মাহবুব উল আলম বলেন, ‘আমি সদ্য যোগদান করেছি। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

এর আগে প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরের গোডাউনে মালামাল চুরির ঘটনা ঘটে। গত ২০ জানুয়ারি বিকালে এক কর্মচারী অন্যান্য মালামাল গোডাউনে রাখতে গেলে চুরির বিষয়টি ধরা পড়ে। গোডাউনের তালা ও প্যাকেট ঠিক থাকলেও প্যাকেটের ভেতরে ছিল না মালামাল। ক্যাবল, স্প্রিংসহ রেলের প্রায় অর্ধকোটি টাকার সরঞ্জাম উধাও হয়ে যায় গোডাউন থেকে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

জেএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm