চট্টগ্রামে ১১ বছরের শিশুকে মেরে বালির নিচে পুতে রাখে খুনিরা

মুক্তিপণ না পেয়ে এক শিশুকে পিটিয়ে হত্যা করে নির্মাণাধীন শৌচাগারে পুতে রাখার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) চান্দগাঁও থানার পশ্চিম মোহরা গোলাপের দোকান এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, চান্দগাঁও পশ্চিম মোহরা গোলাপের দোকান চাঁন মিয়া ফকিরের বাড়ীর মৃত আবুল কালামের ছেলে মো. আজম খান (৩২) ও পাঁচলাইশ থানার বিবিরহাট হামজা আউলিয়া মসজিদ এলাকার চাঁন্দ মিয়া সওদাগরের বাড়ীর মোহাম্মদ ইউসুফের ছেলে মো. মজিব দৌলা প্রকাশ হৃদয় (২৮)। হৃদয় বর্তমানে হাটহাজারী থানার ধুপপুল নুর ভবন তৃতীয় তলার একটি বাসায় থাকতেন।

s alam president – mobile

চাঁদগাও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, চান্দগাঁও পশ্চিম মোহরা গোলাপের দোকান এলাকার মো. সেলিম উদ্দিন তার মেজ ছেলে মো. সফিউল ইসলাম রহিম (১১) নিখোঁজের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেন। ১১ বছরের এ শিশুকে উদ্ধারে তদন্ত নেমে বাদীর বাড়ীর পাশের হারুন সাহেবের কাগজের গোডাউনের রাস্তার মুখের সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজে আজম খানকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হালিশহর থানার পানির কল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্য আসামি হৃদয়কে বলিরহাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামিদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, গত ২৯ এপ্রিল দুপুর প্রায় সাড়ে তিনটার দিকে বাড়ী থেকে বের হলে আজম, হৃদয়সহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন রহিমকে পটকা বাজি কিনে দেওয়ার প্রলোভনে নিয়ে যায়। অপহরণ করে একই এলাকার তৌসিফের নির্মাণাধীন সেমিপাকা কলোনীর শেষের অংশের একটি রুমে রহিমকে নিয়ে তার পরিবার থেকে অ্যাপস এর মাধ্যমে ফোন কলে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবি করে অভিযুক্তরা। মুক্তিপণ দিতে অসমর্থ্য জানালে সেদিনই রাত সাড়ে সাতটার দিকে রহিমকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

ওসি বলেন, হত্যার বিবরণ দিতে গিয়ে আসামিরা বলেন, আজম তার হাতে থাকা কাঠ দিয়ে পেছন থেকে রহিমের মাথা ও মূখে উপর্যুপরি আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে ঘটনাস্থলেই লাশ গুম করার জন্য সেই রুমের নির্মাণাধীন শৌচাগারে ইট, বালি দিয়ে পুতে রাখে।

Yakub Group

ওসি আরও বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের তথ্য মতে, চান্দগাঁও পশ্চিম মোহরা গোলাপের দোকানে তৌসিফের নির্মাণাধীন সেমিপাকা কলোনীর শেষের অংশের একটি রুমের শৌচাগারের মাটি খুড়ে ভিকটিমের লাশ উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে হত্যার কাজে ব্যবহৃত কাঠের বাটাম উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে চান্দগাঁও থানায় মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!