চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নে শ্বশুর বাড়িতে হত্যার শিকার গৃহবধূ জেরিনের খুনিদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে নিহতের আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা। এছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ছাত্রসমাজ, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার শতাধিক নারী-পুরুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
রোববার (৭ মে) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে ‘চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনগণ’র ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন, যৌতুকের লোভে জেরিনের স্বামী, ভাসুর, ভাগিনাসহ শ্বশুরবাড়ির লোকরা মিলে তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে।
এই সময় আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বানও জানানো হয়।
মানববন্ধনে নিহত জেরিনের মা জেসমিন আক্তার বলেন, ‘আমার মেয়েকে তারা যৌতুকের জন্য হত্যা করছে। ভবিষ্যৎ যৌতুকের জন্য এমন ঘটনা যেন আর না হয়, তাই প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, সহযোগিতা কামনা করছি।
বক্তারা জেরিন আক্তারের খুনি স্বামী দিদার, ভাসুর আবু তৈয়ব, ভাগ্নে হৃদয়কে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসি দিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
এই সময় আরো বক্তব্য রাখেন হাসমত খাঁন আতিফ, জয়নাল আবেদীন, রবিউল আলম, সুলভ বড়ুয়া, আশরাফ, মুহাম্মাদ মোর্শেদ, আন্জুমান আরা তানি।
গত ৩০ এপ্রিল পটিয়ায় নিজ শ্বশুরবাড়িতে মৃত্যু হয় গৃহবধু জেরিনের। এই মৃত্যুকে শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে প্রথমে হার্টঅ্যাটাক ও পরে ফাঁসিতে আত্মহত্যা বলে জানানো হয় জেরিনের পরিবারকে। কিন্তু জেরিনের মৃত্যু একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করে আসছে তার পরিবার।
ঘটনার একদিন পর নিহতের মামা মো. রেদোয়ান বাদি হয়ে জেরিনের স্বামী, ভাসুর ও ভাগ্নের নাম উল্লেখ করে আরও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন পটিয়া থানায়। জেরিনের মৃত্যুর পর থেকে পলাতক রয়েছেন তিন আসামি।







