চট্টগ্রাম জেলায় গ্রাম আদালতে মামলার সংখ্যা বাড়ছে। কম খরচ ও দ্রুত বিচারের জন্য গত ১১ মাসে জেলা আদালত থেকে ৫১৫টি মামলা পাঠানো হয়েছে গ্রাম আদালতে। এছাড়া ১১ মাসে চট্টগ্রাম জেলায় ২২৪৬টি অভিযোগ সরাসরি দায়ের হয়েছে। মোট ২৯৯৬টি মামলার মধ্যে গ্রাম আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছে ১৪০৫টি।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) নগরীর পিটিআই মিলনায়তনে জেলা পর্যায়ে গ্রাম আদালতের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করণীয় শীর্ষক অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ও পরিচালক, স্থানীয় সরকার মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা।
তিনি বলেন, প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতকে সক্রিয় করতে হবে। বর্তমানে অনেক ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান না থাকলেও, গ্রাম আদালত বিধিমালা অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদের যেকোনো সদস্যের মাধ্যমে গ্রাম আদালত পরিচালনা করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, গ্রামের পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সহজে, কম খরচে, ন্যায় বিচারের জন্য গ্রাম আদালতকে সক্রিয় করার কোনো বিকল্প নেই।
এ সময় তিনি সভায় উপস্থিত চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সকল ইউনিয়নের ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দকে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম সংক্রান্ত বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
চট্টগ্রাম জেলার স্থানীয় সরকার উপ পরিচালক মো. নোমান হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে ২০২৪ সালের কার্যক্রমের অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জগুলো ও শিক্ষণীয় দিক নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্প ৩য় পর্যায় চট্টগ্রাম জেলার জেলা ব্যবস্থাপক সাজেদুল আনোয়ার ভুঞা।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার আলাউদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরীন, ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরী, ইপসা’র পরিচালক (সামাজিক উন্নয়ন) নাছিম বানু, বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্প ৩য় পর্যায় এর প্রকল্প সমন্বয়ক ফারহানা ইদ্রিস ও কক্সবাজার জেলা ব্যবস্থাপক সৈয়দ মোহন উদ্দিন।