চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকায় (সিইপিজেড) দুটি কারখানার শ্রমিকদের সংঘর্ষে অন্ততঃ ১২ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তৎপরতার পর এখন পুরোপুরি শান্ত হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সিইপিজেড এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান জানান, গত কয়েকদিন ধরে জেএমএসের শ্রমিকরা বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। দু’দিন বন্ধ থাকার পর বিষয়টির সুরাহা হয়। শনিবার ফের কারখানাটি চালু হয়।
অন্যদিকে সকালে মেরিনকোর শ্রমিকরা দাবি আদায়ে কারখানা থেকে বেরিয়ে আসেন। সে সময় তারা ঢিল ছুড়ে সংলগ্ন জেএমএস কারখানার কয়েকটি জানালার কাঁচ ভাঙলে দুই পক্ষ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।
এরপর দুই কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে পাথর ছোড়াছুড়ি হয়। এ ঘটনায় আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেনাবাহিনীও ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছে।
শিল্প পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. সুলাইমান বলেন, ‘এটি বেতন-ভাতা সংক্রান্ত কোনো সমস্যা নয়। দুটি কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে বিরোধ হয়েছিল। আমরা ঘটনাস্থলে থেকে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি।’
আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
ওয়ার্ডের স্টাফ নার্স মো. সেলিম বলেন, সিইপিজেড শ্রমিকদের মারামারির ঘটনায় আহতদের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। অধিকাংশের ব্যথার ধরন গুরুতর না। ১২ জনকে ভর্তি করা হয়েছিল। কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
আইএমই/এমএহক