চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন দুই ট্রেন, যাত্রী ওঠানামায় থামবে ৮ স্টেশনে

স্থায়ী করা হচ্ছে বিশেষ ট্রেনটিও

পর্যটক মৌসুমের শেষদিকে এসে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে অনুমোদন পেল একজোড়া নতুন ট্রেন। একইসঙ্গে চালুর ১১ মাসের মাথায় নিয়মিত করা হলো এ রুটে চলাচল করা বিশেষ ট্রেনটিও। তবে অনুমোদন পেলেও ট্রেন দুটি জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে চালু হতে পারে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার রেলপথ মন্ত্রণালয় ট্রেন নিয়মিতকরণ এবং সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে রেলওয়ের এ প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের ট্রেন দুটির নাম হচ্ছে—সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস। এ দুই জোড়া ট্রেন যাত্রাপথে যাত্রী ওঠা-নামার জন্য ষোলশহর, জানালীহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা ও রামু স্টেশনে থামবে।

এর আগে বিশেষ ট্রেনটি স্থায়ী ও নতুন একজোড়া ট্রেন চালু করার অনুরোধ জানিয়ে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর রেলওয়ের মহাপরিচালককে চিঠি দেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিদ্যমান জনবল দিয়ে এই রুটের নতুন দুই জোড়া ট্রেন চালাতে হবে।

বর্তমানে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস নামে দুটি ট্রেন চলাচল করে। এ দুটি ট্রেন যাত্রাপথে শুধুমাত্র চট্টগ্রামে যাত্রী ওঠানামা করায়। চলতি বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময় গত ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু হয়। পরে ৩০ মে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে ঈদুল আযহার সময় ১২ জুন থেকে আবার চালু করা হয় বিশেষ ট্রেন, যা এখনও চলছে।

তবে পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল, নভেম্বর থেকে ফ্রেব্রুয়ারি পর্যটন মৌসুমে ট্রেন চালু করার। কিন্তু পর্যটন মৌসুমের শেষ সময়ে এসে দুটি ট্রেন চলাচলের অনুমোদন দিলেও কখন থেকে দুটি ট্রেন যাত্রী পরিসেবা দেবে তা এখন ঠিক হয়নি।

এদিকে রেলওয়ের নথিপত্রের তথ্য অনুযায়ী, নতুন ট্রেন দুটিতে কোচ থাকবে ১৬টি করে। প্রতিটি ট্রেনে আসন রয়েছে ৭৪৩টি। সোমবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে। সৈকত এক্সপ্রেস প্রতিদিন ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে কক্সবাজার পৌঁছাবে। প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে বেলা ২টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছাবে। চট্টগ্রামে আসার পর প্রবাল এক্সপ্রেস বেলা ৩টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে সন্ধ্যা ৭টায় কক্সবাজারে পৌঁছাবে। সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেন সন্ধ্যা ৮টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাবে।

বর্তমানে বিশেষ ট্রেনটি প্রতিদিন সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। কক্সবাজারে পৌঁছে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। আবার কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছাড়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাতটায়। চট্টগ্রামে পৌঁছায় রাত ১০টায়।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক এবিএম কামরুজ্জামান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন এক জোড়া ট্রেন অনুমোদন ও নিয়মিত চলাচল করা স্পেশাল ট্রেনটি স্থায়ী করা হয়েছে। জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে ট্রেনটি চালু করা সম্ভব বলে আশা করছি।’

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী পরিচালন কর্মকর্তা মো. আকতার কামাল চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘নতুন ট্রেন চালু ও চলাচল করা ট্রেন স্থায়ী হওয়ার অনুমোদনের খবর শুনেছি। তবে এখনো হাতে অনুমোদন কপি পাইনি। অনুমোদন কপি পাওয়ার পর ট্রেন পরিচালনায় প্রস্তুতি গ্রহণ করতে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগতে পারে। সে হিসেবে জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে নতুন ট্রেন চালুর সম্ভবনা রয়েছে।

সিএম/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm